আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপের যেসব দেশে বিদেশি কর্মীর চাহিদা সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে ইতালি অন্যতম। দেশটিতে বিভিন্ন খাতে কাজ পেতে প্রতি বছরই আবেদন করেন লাখ লাখ মানুষ। প্রতিনিয়ত আবেদনের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কর্মী চাহিদাও।
চলতি বছর ১ লাখ ৫১ হাজার বিদেশি শ্রমিক নেবে ইতালি সরকার। এরই মধ্যে প্রায় সাত লাখ আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে শুরুর দিকে যারা আবেদন করেছেন তাদের অনেকেই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে স্পন্সর ভিসায় এগিয়ে আছেন বাংলাদেশিরা।
কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখো শ্রমিক নেয় ইতালি। ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের ভেতর সাড়ে চার লাখের বেশি শ্রমিক নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর দেড় লাখের বেশি শ্রমিক কোটা নির্ধারণ করে দেশটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গেল ১৮, ২১ এবং ২৫ মার্চ তিন ক্যাটাগরিতে আবেদনপত্র জমা দেয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সাত লাখের মতো আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ তিন ক্যাটাগরিতে আবেদন করেছেন এক লাখের বেশি বাংলাদেশি।
ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতে স্পন্সর ভিসার জন্য যারা আগে আবেদন করেছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারাই জয়ী হয়েছেন। আশার বিষয় হলো, এবারও বাংলাদেশের অনেকেই এগিয়ে রয়েছেন। তারা দ্রুত আবেদনপত্র দাখিলে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মালিক ও নিয়োগকর্তার কোম্পানির যদি অর্থনৈতিক সক্ষমতা ভালো থাকে, তবে কিছুটা বিলম্বে আবেদন করলেও স্পন্সর ভিসা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে ইতালির আইনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।