বিনোদন ডেস্ক : ২০২১’এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পুষ্পা: দ্যা রাইজ’ ছবির সূত্র ধরেই গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির রশ্মিকা মন্দনা ও সামান্থা রুথ প্রভু। নিঃসন্দেহে দুজনেই সুন্দরী অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। সাধারণের মাঝে তাদের জনপ্রিয়তা নেহাতই কম নয়। তবে এই মুহূর্তে দর্শকমহলের একাংশ রীতিমতো ক্ষুব্ধ এই দুই দক্ষিণী সুন্দরীর উপর। মনক্ষুন্ন হয়েছেন ভক্তরাও। একদিকে বয়কট হতে চলেছেন রশ্মিকা, অন্যদিকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সামান্থার বিরুদ্ধে।
খুব সম্প্রতি পর্দার শ্রীভাল্লী ‘গুডবাই’ ছবির সূত্র ধরেই ডেবিউ করেছেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে সেটি দর্শকদের মাঝে খুব বেশি সফলতা লাভ করতে পারেনি। তবে এক সাক্ষাৎকারের সূত্র ধরেই বিতর্কে জড়িয়েছেন রশ্মিকা মন্দনা। তিনি সাক্ষাৎকারের নিজের অভিনয় জীবনে আসার গল্প জানিয়েছেন সকলকে।
তিনি ঠিক কিভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে ব্রেক পেয়েছেন! সেকথাও স্পষ্ট বলতে শোনা গিয়েছে তাকে। তিনি জানিয়েছেন, কন্নড় প্রডাকশন হাউসের তরফ থেকে তার কাছে একটি একটি ফোন এসেছিল অভিনয়ের জন্য। এমনকি স্টুডিওর নামও নিয়েছেন তিনি। সেই সময়ের জনপ্রিয় ছবি ‘কিরিক পার্টি’র সূত্র ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে ব্রেক পেয়েছিলেন তিনি। ঐ ছবিতে তার বিপরীতে রক্ষিত শেট্টির দেখা মিলেছিল। যিনি অভিনেত্রীর প্রাক্তন প্রেমিক ছিলেন।
তবে অভিনেত্রীর এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন দক্ষিণী ভক্তদের পাশাপাশি কন্নড় ছবি ‘কান্তারা’র নির্মাতা ঋষভ শেট্টিও। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে তিনি অভিনেত্রী সাথে আর কাজ করতে চান না। এমনকি এও শোনা গিয়েছে, কন্নড় চলচ্চিত্র সংগঠনগুলির তরফ থেকেও ভবিষ্যতে অভিনেত্রীর ছবি নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
খুব সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সামান্থা রুথ প্রভু অভিনীত দক্ষিণী ছবি ‘যশোদা’। গত ১১’ই নভেম্বর বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। তবে সম্প্রতি সেই ছবির সূত্র ধরেই তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী। জড়িয়েছেন আইনি ব্যাপারেও। ছবি ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই এই ছবি নিয়ে উন্মাদনার শেষ ছিল না।
তবে সম্প্রতি হায়দ্রাবাদের এক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয়েছে। তাদের মতে ছবিতে হাসপাতালের কার্যকলাপের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। ছবিতে অভিনেত্রীকে হায়দ্রাবাদের একটি ইভিএ সারোগেসি ক্লিনিকে ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে।
আর সেখানেই ছবির সূত্র ধরে এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে সারোগেসি পদ্ধতির সমস্ত গতিবিধি সম্পর্কে নানা তথ্য প্রদান করা হয়েছে। আর সেই নিয়েই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মত, সমস্ত বিষয়টাই ভুল ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে ছবিতে।
যার ফলস্বরূপ তাদের হাসপাতালের উপর প্রভাব পড়েছে। এই সূত্রে হায়দ্রাবাদ সিভিল কোর্টের তরফ থেকে হাসপাতালের পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছে। রায়ে ‘যশোদা’র ওটিটি’র মুক্তির দিন ১৯’শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলাই যায়, এই মুহূর্তে সেই নিয়েই চর্চায় তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।