জুমবাংলা ডেস্ক: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নদীতে কুড়িয়ে পাওয়া ১ কেজি ২৫০ গ্রাম ওজনের একটি ‘কষ্টিপাথরের’ একটি টুকরা থানায় জমা দিয়েছেন শাহাজাদী পারভিন নামের এক নারী। গতকাল বুধবার রাতে তিনি সশরীরে হাজির হয়ে ‘কষ্টিপাথরের’ অংশটি থানায় জমা দেন। তবে এখন পর্যন্ত পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায়নি এটা আসলেই কষ্টিপাথর কি না।
জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে উপজেলার করতোয়াপাড়া গ্রামের আজিল (৫৫) বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদী থেকে এটি খুঁজে পান।
এটি কষ্টিপাথরের কোনো মূর্তির দুটি পায়ের কিছু অংশ বলে ধারণা করেন। কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে তিনি তা নিজের কাছে রেখে দেন। এক দিন পর তার জামাতা আবু তাহের পাথরটি শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। আবু তাহের ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার খোদাদাদপুর গ্রামের মজিবর রহমান মুন্সির ছেলে।
১৮ দিন আগে আবু তাহের মারা যান এবং এই পাথর কার কাছে থাকবে তা নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে মৃত তাহেরের বড় বোন শাহজাদী পারভীন (৪৯) পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে পাথরটি নিজের কাছে রাখেন।
শাহজাদী পারভীন জানান, লোকমুখে শোনা যায়, কষ্টিপাথর খুবই মূল্যবান ও শক্তিশালী সম্পদ। এই পাথর বাড়িতে থাকলে সংসারে আয়-উন্নতি বৃদ্ধি পায় এবং জমির ফসল বৃদ্ধি পায়। এসব নানা কুসংস্কারে বিভ্রান্ত হয়ে তার ছোট ভাই শ্বশুরবাড়ি থেকে পাথরটি সংগ্রহ করে নিজের কাছে রেখেছিল।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, পাথরটি আমরা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) মূলে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছি। উদ্ধার করা পাথরটি আসলে কষ্টিপাথর নাকি কষ্টিপাথরসদৃশ অন্য কোনো পাথর, তা আমরা নিশ্চিত নই। তবে কষ্টিপাথর ভেবেই আজিল উদ্দিন এবং তার জামাতা এই পাথরটি নিজেদের হেফাজতে রেখেছিলেন। আমরা বিধিমোতাবেক এই পাথরটি পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠাব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।