বিনোদন ডেস্ক : এক সময়ের বলিউডের পরিচিত মুখ প্রিয়া গিল। সৌন্দর্যের জন্য তাকে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে তুলনা করা হত। তার ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল চমক লাগানো। কিন্তু তার পরেও ক্যারিয়ারের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র চার থেকে পাঁচ বছর। বলিউডে এই নাম এখন আর শোনা যায় না।
পাঞ্জাবের মেয়ে প্রিয়া ১৯৯৫ সালে ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল’ খেতাব জিতেছিলেন। একই বছর ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল’-এ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এরপর অভিনয়ে মন দেন তিনি।
সে সময় বলিউডে এক ঝাঁক নতুন নায়িকা উঠেও আসছিলেন। সুস্মিতা সেন, রানি মুখোপাধ্যায়ও সেই বছর থেকেই হিন্দি সিনেমায় কাজ শুরু করেন। পরের বছর ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন ঐশ্বরিয়া রাই।
সে সময় নতুন মুখ খুঁজছিল অমিতাভ বচ্চনের প্রযোজনা সংস্থা এবিসিএল। নবাগত আরশাদ ওয়ারসি, চন্দ্রচূড় সিংহ এবং প্রিয়া অভিনীত ‘তেরে মেরে সপনে’ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছিলেন টিগমাংশু ধুলিয়া। এই সিনেমা বক্স অফিসে সফল হয়নি। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি পান প্রিয়া। তার কাছে কাজের সুযোগ আসতে থাকে। তবে কোনও সিনেমাই বক্স অফিসে সফল হচ্ছিল না।
শেষ পর্যন্ত তিনি পরিচিতি পান ‘সির্ফ তুম’ সিনেমাতে। যেখানে প্রিয়ার সারল্যে ভরা নিষ্পাপ মুখ পছন্দ হয়েছিল দর্শকদের। সঞ্জয় কাপুর, সুস্মিতা সেন অভিনীত এই সিনেমা বক্স অফিসে সফল হয়। কিন্তু তার পরেও ইন্ডাস্ট্রিতে প্রিয়ার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি।
হতাশ প্রিয়া ভাবছিলেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিদায় নেবেন। কিন্তু সে সময়েই আসা একটি অফার তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। প্রিয়া সুযোগ পান শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘জোশ’ সিনেমায় কাজ করার। কিন্তু কোনও ভাবেই বলিউডে প্রথম সারিতে আসতে পারেননি প্রিয়া। ফলে বাধ্য হয়ে বলিউডের বাইরে পাঞ্জাবী ও দক্ষিণী সিনেমাতেও কাজ করেন তিনি।
কয়েক বছরেও এই চিত্র পরিবর্তিত না হওয়ায় প্রিয়া অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ইন্ডাস্ট্রি থেকে প্রায় উধাও হয়ে যান তিনি। দেখা যায়নি কোনও অনুষ্ঠানেও।
অনেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এখন দেশ ছেড়ে ডেনমার্কে বিবাহিত জীবন উপভোগ করছেন অভিনেত্রী। আজও দর্শক তাকে তার সৌন্দর্যের জন্য মনে রেখেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।