বিনোদন ডেস্ক : তিন দিন হলো না ফেরার দেশে চলে গেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। অভিনেতার মৃত্যুর পর ব্যাপক চর্চায় তার রেখে যাওয়া ঋণের পরিমাণ। সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুঞ্জন, পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপি ফারুক।
কতটা সত্যি এই গুঞ্জন? অবশেষে সত্যিটা জানালেন নায়কের স্ত্রী ফারহানা পাঠান। গণমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেছেন, ‘পাঁচ হাজার কোটি নয়, ২৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ফারুক। তার মধ্যে দুই কোটি টাকা পরিশোধও করে দিয়েছেন।’
পাশাপাশি নায়কের স্ত্রী সবার কাছে অনুরোধ করেছেন, ‘না জেনে কেউ গুজব ছড়াবেন না।’ স্বামীর মৃত্যুতে খুব ভেঙে পড়েছেন ফারহানা। তাই বিতর্কিত এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে আপাতত রাজি নন তিনি। জানিয়েছেন, অবস্থা স্বাভাবিক হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
এদিকে, বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে খবর, বীর মুক্তিযোদ্ধা অভিনেতা ফারুকের নামে পাঁচ হাজার কোটি নয়, সুদসহ প্রায় ১০১ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ রয়েছে।
যদিও নায়কের দাফনের দিনে প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু দাবি করেন, ফারুক মাত্র এক কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। তার বদলে ব্যাংকে যে সম্পত্তি তিনি মর্টগেজ রেখেছেন তার মূল্য অনেক বেশি। মর্টগেজ সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংকের ঋণ তো শোধ হবে, তারপরও সেখানে যে টাকা থাকবে, সেটা তার পরিবার পাবে।
গত সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংসদ অভিনেতা ফারুক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি জিবিএস নামে বিরল এক নিউরোলজিক্যাল রোগে ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুরে তারই চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না।
সোমবার রাতেই সিঙ্গাপুরে ফারুকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকালে মরদেহ আনা হয় ঢাকায়। প্রথমে নেয়া হয় নায়কের উত্তরার বাসায়। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় ফারুককে, দেয়া হয় গার্ড অব অনার।
এরপর মরদেহ নেয়া হয় এফডিসিতে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ নেয়া হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখান থেকে তৃতীয় জানাজার জন্য গুলশান আজাদ মসজিদে। এরপর মঙ্গলবার বাদ আসর গাজীপুরের কালীগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে শায়িত করা হয় ফারুককে।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কিংবদন্তি এই অভিনেতা ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে ফারুকের মৃত্যুতে আসনটি আপাতত শূন্য হয়ে গেছে। তার জায়গায় কে আসেন, সেই অপেক্ষায় গুলশান-বনানীর বাসিন্দারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।