জুমবাংলা ডেস্ক : কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রযুক্তি কৃষিকে করেছে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। এক বিঘা জমির ধান কাটাই মাড়াই করতে সময় লাগছে মাত্র ১৫-২০ মিনিট। আর এতে খরচ হচ্ছে মাত্র ২৫০০-৩০০০ টাকা। অথচ শ্রমিক দিয়ে এক বিঘা ধান কাটাই মাড়াই করতে সময় লাগবে তিনদিন। আর এতে খরচ পড়বে কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বিভিন্ন এলাকায় কৃষির এই যান্ত্রিকীকরণ শুরু হয়েছে বহু আগেই। কম্বাইন্ড হারভেস্টার (ধান কাটাই-মাড়াই মেশিন) দিয়ে এলাকার কৃষকরা অতি অল্প সময়ে স্বল্প খরচে ধান কাটাই মাড়াই করছেন। তবে এই যন্ত্রটির ব্যাপক মূল্য। সরকার ৫০ শতাংশ ভূর্তুকি দিয়েও মাঠপর্যায়ে এর ব্যবহার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারছে না।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, হোসেনপুরে এবার প্রায় ৮ হাজার ৩৮২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এসব ধান কাটাই মাড়াই করতে প্রচুর হারভেস্টার মেশিন প্রয়োজন হলেও হোসেনপুরে রয়েছে মাত্র কয়েকটি।
এলাকার কৃষকরা বলছেন, বিভিন্ন কোম্পানি ও মান ভেদে প্রতিটি হারভেস্টার মেশিনের দাম ২২ থেকে ৩২ লাখ টাকা। এসব মেশিন ক্রয়ে সরকার ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে থাকে। তারপরও এটি ক্রয় করতে কৃষকের সামর্থ হচ্ছে না কৃষকদের৷ বুধবার উপজেলার ধুলজুরী গ্রামের কৃষক দ্বীন ইসলামের এক বিঘা জমির আমন ধান কাটতে দেখা যায় হারভেস্টার মেশিন দিয়ে।
কৃষক দ্বীন ইসলাম জানান, এই এক বিঘা জমির ধান কাটাই মাড়াই করতে সময় লাগবে তিনদিন। আর এতে খরচ পড়বে কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা। তার মতে, মেশিনের ব্যাপক দাম সেই তুলনায় কৃষকের সামর্থ কম হওয়ায় এটি মাঠপর্যায়ে বিস্তার লাভ করতে পারছে না।
গ্রামের অন্য কৃষকরা জানান, দিন দিন যে হারে ধান কাটা শ্রমিক সংকট ও মজুরি বৃদ্ধি দেখা দিচ্ছে, সে বিবেচনায় এ মেশিনের কোনো বিকল্প নেই। এর সমাধনে কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম শাহজাহান কবির বলেন, আমরা কৃষক প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবসে হারভেস্টার মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ব্যাপক ভাবে উৎসাহ দিয়ে থাকি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।