জুমবাংলা ডেস্ক : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত চিঠি তাদের শিক্ষকদের প্রতি একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এ সময়ে যখন শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে, কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে একটি খোলা চিঠি প্রদান করেছেন। এই চিঠিতে তারা একটি মিষ্টি সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরেছেন, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের বাবা-মায়ের মতো এবং আলোকবর্তিকারূপে গণ্য করছেন। এটি কেবল একটি সম্প্রদায়ের চিন্তা প্রকাশ নয়, বরং শিক্ষকদের প্রতি তাদের মূল্যায়ন ও সম্পর্কের গভীরতা প্রতিষ্ঠা করেছে।
শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের আন্তরিক আবেদন
“আপনারা আমাদের গুরু, আমাদের পিতৃতুল্য, আমাদের আলোকবর্তিকা,” এই প্রতিপাদ্য সঙ্গে শিক্ষার্থীরা খোলা চিঠিতে জানিয়েছেন। তারা বলেন, “আমরা আপনাদের সামনে নতমস্তকে দাঁড়িয়ে, হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে গভীরভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।” এটি স্পষ্ট যে, সাম্প্রতিক সংঘটিত ঘটনার জন্য তাদের গভীর অনুতাপ রয়েছে। তারা জানিয়েছেন, “আমাদের আন্দোলন কখনোই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ছিল না। এটি একটি ব্যর্থ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছিল।”
পাঠকদের কাছে শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন যে, এ আন্দোলনের পেছনে একটি কুচক্রী মহল রয়েছে, যারা ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েছিল। তাদের বক্তব্য অনুসারে, শিক্ষকদের অসম্মান করা, শিক্ষার্থীদের নাৎসি সিদ্ধান্তের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শিক্ষক সমিতির পাঁচ দাবি
সাম্প্রতিক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৪ মে কুয়েট খুলে দেওয়া হলেও শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করে বিভিন্ন অভিযোগ উঠিয়েছে। শিক্ষক সমিতি পাঁচটি দাবি জানিয়ে সাত কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দিয়েছে। এসব দাবির মধ্যে শিক্ষকদের নিরাপত্তা, অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা এবং প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সন্নিবেশিত রয়েছে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মো. ফারুক হোসেন বলেছেন, “এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত না হলে শিক্ষকরা প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকবেন।” এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি চিন্তার বিষয়।
সাম্প্রতিক অবস্থান
বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যপট ইতোমধ্যেই পরিবর্তিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা এবং শিক্ষকদের সমর্থন নিয়ে নতুন এক অধ্যায় রচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক এবং সামাজিক চিন্তাশীলতা সবার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এবং তারা আশাবাদী যে, শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ও সম্পর্ক উপকারী থাকবে।
এই ক্ষেত্রে শিক্ষকদের মানবিক দিক সামনে এনে শিক্ষার্থীদের ভেতরের অনুশোচনা এবং সম্পর্কের নতুন অধ্যায় খোলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
FAQ
কুয়েটের শিক্ষার্থীরা কেন খোলা চিঠি দিয়েছে?
শিক্ষার্থীরা সাম্প্রতিক ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে এবং নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে খোলা চিঠি দিয়েছে।শিক্ষকসমিতির দাবি কী?
শিক্ষকসমিতি পাঁচটি দাবির মধ্যে প্রশাসনের নিরাপত্তা, অভিযুক্তদের বিচার এবং শিক্ষকদের সম্মান রক্ষার দাবি করেছেন।শিক্ষার্থীরা তাঁদের আন্দোলন সম্পর্কে কী বলেছেন?
তারা জানিয়েছেন যে, তাঁদের আন্দোলন কখনোই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ছিল না, বরং একটি ব্যর্থ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছিল।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি বর্তমানে কেমন?
সাম্প্রতিক ঘটনায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছে এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে ইউনিটি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।- শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের আপত্তি কী রকম?
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে যে, তাঁদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য শিক্ষকদের সম্মান রক্ষার পাশাপাশি প্রশাসনের প্রতি চাপ তৈরি করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।