জুমবাংলা ডেস্ক : প্রায় আড়াই মাস পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) রোববার (৪ মে) থেকে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও এখনও ক্লাসে যায়নি শিক্ষকরা। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন ৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কুয়েটের নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী সোমবার (৫ মে) সকাল ১০টায় অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে কুয়েটের ডিন, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ও রেজিস্টারের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
কুয়েটের রেজিস্টার প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান ভুঞা বলেন, উপাচার্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সংকট নিরসনের চেষ্টা করছেন।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার বেলা ১১টায় সাধারণ সভা ডেকেছে শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন বলেন, সভায় পরবর্তী করণীয় বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, এ দুটি বৈঠকের পর হয়তো সিদ্ধান্ত হতে পারে যে, কবে নাগাদ ক্লাস শুরু হবে।
কুয়েটের শিক্ষকরা জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সংঘর্ষে কুয়েটের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। ওই দিন বিকেল থেকে পরদিন বিকেল পর্যন্ত কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারে সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অবরুদ্ধ করে রাখে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী। তারা বিদায়ী উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে মারধর, লাঞ্ছিত ও গালাগাল করে। পরবর্তী ২ মাস আন্দোলন চলাকালে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষকদের নিয়ে কটূক্তি করে। এ নিয়েই মূলত শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ।
কুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ভুল-ত্রুটির জন্য শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে বিদ্বেষমূলক কোনো আচরণে যেতে চাই না। আবারও শিক্ষকদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।