কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে বিএনপির ইউনিয়ন অফিস ও একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের জগন্নাথদীঘির উত্তর পাড় এলাকায় অবস্থিত স্থানীয় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণ আছে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বিএনপির তিনজন ও জামায়াতের একজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ শুরু করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন কর্মীকে কুপিয়ে জখমসহ ৮ জনকে আহত করা হয়। একই সময় জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের এক কর্মীর মাথা, হাত ও পায়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।
পরে পাশের বিজয়করা গ্রামে বিএনপিকর্মী রাজুর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বলেন, রবিবার রাতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি অনুষ্ঠান শেষে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ৬-৭ জন নেতাকর্মী অবস্থান করছিলেন। এমন সময় জামায়াত-শিবিরের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন। বিএনপির কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাদের মারধর করা হয়।
একপর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন কর্মী রক্তাক্ত আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া আহত আরো ৫ জন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। কার্যালয়ে হামলার পর তারা বিজয়করা গ্রামে বিএনপির এক কর্মীর বাড়িতেও হামলা ও ভাঙচুর করেছেন।
হামলার ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মুহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জামায়াতের কর্মীদের স্থানীয় বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল।
একপর্যায়ে হঠাৎ করেই তারা ইসমাইলকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করেন। তার পুরো মাথায় কোপানো হয়েছে। এ ছাড়া হাত ও পায়েও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তিনি আরো দাবি করেন, ইসমাইলকে এভাবে কুপিয়ে জখম করায় স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপির কার্যালয় ও তাদের এক কর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বলে জেনেছেন। এতে জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না।
সোমবার রাতে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, রোববার রাতে দুই দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে জড়ানোর খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



