জুমবাংলা ডেস্ক : ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের জনতা ব্যাংকের মোড়ে সাড়ে ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের নেকলেস কুড়িয়ে ফেয়ে ফেরত দিলেন রিকশাচালক দিগন্ত দাস। স্বর্ণের গহনার বাজারমূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন গহনার মালিক।
গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বর্ণের নেকলেসটি কুড়িয়ে পান দিগন্ত দাস। পরে মাইকিং শুনে গহনার প্রকৃত মালিকের কাছে গিয়ে স্বর্ণের গহনাটি ফেরত দেন তিনি।
দিগন্ত দাস জানান, ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রিকশা চালায় দিগন্ত দাস। প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালেও মালিকের কাছ থেকে রিকশা নিয়ে বের হলে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরে জনতা ব্যাংকের মোড়ে একটি স্বর্ণের নেকলেস কুড়িয়ে পান তিনি। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, গহনার মূল্য অনেক হবে। যে কারণে তিনি ফেরত দেওয়ার জন্য প্রকৃত মালিককে খুঁজছিলেন। পরে মাইকিং শুনে তিনি প্রকৃত মালিকের কাছে গিয়ে গহনা ফেরত দেন।
সিঙ্গাপুর প্রবাসী রাশেদ হোসেন জানান, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার হেলাই গ্রাম থেকে ঝিনাইদহ শহরে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। পথিমধ্যে কালীগঞ্জ শহরের জনতা ব্যাংক মোড়ে পৌঁছলে অজান্তে স্ত্রীর গলায় থাকা সাড়ে ৫ ভরি ওজনের নেকলেসটি গলা থেকে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর টের পেয়ে নেকলেস খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন রাশেদ। কিন্তু কোনো স্থানে পড়েছে সেটি নির্দিষ্ট জানা ছিল না। এরপর শহরে মাইকিং করার প্রায় ঘণ্টাখানেক পর রিকশাচালক দিগন্ত কুমার দাস তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং নেকলেসটি ফেরত দেন।
এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা রিকশাচালক দিগন্ত দাশকে প্রশংসায় ভাসান। তারা জানান, দিগন্তের মতো সৎ মানুষ আছে বলেই এখনো আমদের দেশ সুন্দর।
রিকশাচালক দিগন্ত কুমার দাস জানান, তিনি ভাড়া নিয়ে রিকশা চালান। তার বাবা প্রতিবন্ধী ও মা গৃহিণী। রিকশা চালিয়ে যা আয় হয় সেটি দিয়েই সংসার চলান তিনি।
পানির দামে বাজার কাঁপাতে আবার আসলো নোকিয়া, রইল সেরা ফিচার ফোনের বিস্তারিত
তিনি বলেন, গহনা ফেরত দেওয়ার পর গহনাটির মালিক আমাকে একটি মোবাইল উপহার দিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।