জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামে সব নদ-নদীর পানি ফের বাড়তে শুরু করেছে। ফলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৯ উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়নের প্রায় সোয়া দুই লাখেরও বেশি মানুষ।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরের পর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের তিনটি পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা ও দুধকুমারের পানিও বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে, ২য় ধাপের বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ কারণে উঁচু স্থান থেকে চরের ও দ্বীপ চরের বানভাসিরা এখনও ঘরে ফেরেনি। এসব চরের বাসিন্দাদের অনেকেই গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দি। বাড়িঘরে পানি থাকায় লোকজন নৌকায় বসবাস করছেন। কলাগাছের ভেলাই হচ্ছে এসব মানুষের অধিকাংশের সহায় সম্বল। রান্না করা ও খাদ্যাভাবে এসব মানুষের দিন কাটছে।
সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছালেও বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। অনেকেই ত্রাণ সহায়তা পেলেও রান্না করার সরঞ্জাম না থাকায় শুকনো খাবার খেয়ে কোনমতে দিন পার করছেন। কিন্তু পানিতে কতক্ষণ থাকবেন। পাশাপাশি মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন তাদের গবাদিপশু নিয়ে। পানি বেশি থাকায় টিউবওয়েল ও পায়খানা ডুবে গেছে। ফলে পয়ঃনিষ্কাশন করতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী, প্রতিবন্ধী ও শিশু-বৃদ্ধদের খুবই সংকটে দিন কাটছে।
উলিপুর উপজেলার হাতিয়া চরগুজিমারীর বাসিন্দা সামেনা বেওয়া জানান, আমরা বুড়া মানুষ। পায়খানা প্রসাব করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। পানি বেশি থাকায় কলা গাছের ভেলায় থাকছি।
সদরের চর ভগবতীপুরের বাসিন্দা এরশাদ মিয়া বলেন, গরু ছাগল নিয়া খুবই ভেজালে পড়েছি। এমনিতে নেই খাওন দাওন তার ওপর গবাদি পশুর সমস্যা।
সাহসী দৃশ্যে পবন ও মোনালিসা ঝড় তুললো নেট দুনিয়ায়, ভাইরাল ভিডিও
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, বন্যা মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত ৫৪২ টন চাল, ৩২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ২৩ হাজার ১২০ প্যাকেট শুকনো খাবার ৯ উপজেলায় বিতরণ চলমান। ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত রয়েছে। বানভাসিদের সহায়তায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ৮৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।