জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার ১৬টি নদনদীর তীরবর্তি প্রায় সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বানভাসীদের দুর্বিষহ জীবন কাটাতে দেখা গেছে।
জেলার সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের মমেনা বেগম প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বাড়িছাড়া। বানের পানিতে ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হওয়ায় পরিবার ও গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর। অসুস্থ শরীর নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে বাঁধে আশ্রিত পরিবারগুলোর।
কেউ টিন আবার কেউ তাবু টাঙ্গিয়ে গরু-ছাগল,হাঁস-মুরগিসহ একই চালার নিচে বসবাস করছেন। চারদিকে থৈ থৈ বানের পানিতে তলিয়ে ঘাস, খড়। ফলে গো-খাদ্যের পাশাপাশি শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও স্যানিটেশন ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পড়েছে। সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ারও অভিযোগ বানভাসীদের।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, আরও ৭২ ঘন্টা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হবার শংকা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সরকারিভাবে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে ছেড়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে রোমান্সে মাতলেন স্ত্রী
জেলায় ২য় দফা বন্যায় ইতোমধ্যে জেলার নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, উলিপুর, চিলমারী, রাজারহাট, রৌমারী, রাজিবপুর এবং সদর উপজেলার প্রায় ২০/৩০ ইউনিয়ন আক্রান্ত হয়েছে। এতে করে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।