আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কুতুবমিনারের সৌন্দর্যের কারণে লক্ষ লক্ষ পর্যটক এখানে ভিড় করেন। এই ঐতিহাসিক ভবন সম্পর্কে আপনারা সবাই নিশ্চয়ই জানেন, তবে আরো একটি জিনিস আছে, যা হয়ত অনেকেরই অজানা। আসলে, কুতুব মিনারের একটি দরজার কথা বলা হয়েছে, যা কয়েক দশক ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। এবার এই দরজার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক..
কুতুব মিনার ১১৯৯ থেকে ১২২০ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। কুতুবউদ্দিন আইবক দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং তার মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরী ইলতুৎমিস এই টাওয়ারটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। সেই সময় ভবনের দরজা খোলা থাকলেও লোকজন তা দেখতে ভিতরে যেতেন। কিন্তু এর পরবর্তীকালে কুতুব মিনারের ভেতরে যাওয়া নিষেধ করে দেওয়া হয়।
কুতুব মিনারের উচ্চতা ৭২.৫ মিটার এবং এতে ৩৭৯টি সিঁড়ি রয়েছে, যা আপনাকে মিনারের উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ভবনটির স্থাপত্য দেখলে বিশ্বাস হবে না যে এটি কীভাবে তৈরি হয়েছে। এর উচ্চতা দেখে বিদেশীরাও অবাক হয়ে যায়। তথ্যের অনুসন্ধানের জন্য জানিয়ে রাখি, কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে ১০ মিনিটের একটি চলচ্চিত্র দেখানো হয়, যা কুতুব মিনার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যগুলি জানা যায়।
এরপর ১৯৭৪ সালে সাধারণ মানুষকে কুতুব মিনারের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৯৮১ সালের ৪ ডিসেম্বর একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে, কুতুব মিনারের ভিতরে ৪৫ জন মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যায়। এই রহস্যজনক দুর্ঘটনার কারণ আজও অবশ্যই রয়ে গেছে। সেই থেকে কুতুব মিনারের এই দরজা বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে এখানে অলৌকিক ঘটনা ঘটে বলেও দাবী করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।