আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমানে বাজারে হীরা খুবই মূল্যবান। তবে ল্যাবরেটরিতেই হীরা তৈরি সম্ভব হচ্ছে বলে কয়েক দশকের মধ্যে এর দামও নাগালের মধ্যে চলে আসতে পারে। ভূপৃষ্ঠ থেকে দেড় শ কিলোমিটারেরও বেশি গভীরে হীরা পাওয়া যায়, যেখানে তাপমাত্রা ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকে।
হীরা খাতের বিশ্লেষক পাউল জিমনিসকি বলেছেন, বিজ্ঞানীরা ল্যাবে হীরা তৈরি করতে পারেন। গত শতকের পঞ্চাশ-ষাটের দশক থেকে হীরা তৈরির প্রযুক্তি বিদ্যমান। তবে অনেক দিন ধরে শুধু শিল্প খাতে ব্যবহারের জন্য ছোট দানার মতো হীরা তৈরি করা যেত। চার-পাঁচ বছর আগে হীরা তৈরির প্রযুক্তিতে উন্নতি আসে। ফলে এখন জেম কোয়ালিটির হীরা তৈরি সম্ভব হচ্ছে। এর মান এত ভালো যে অলংকার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
হীরা ব্যবসায়ী এএলটিআর ইনকরপোরেশনের প্রেসিডেন্ট আমিশ শাহ বলেছেন, ল্যাবে তৈরি হীরা খনির হীরার মতোই হয়ে থাকে। এই হীরার গুণ এত ভালো আর এত দ্রুত তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে যে ভবিষ্যতে হয়তো আঙুলের চেয়ে হাতেই হীরা বেশি থাকবে।
আমিশ শাহ আরো বলেছেন, বর্তমানে হীরাকে আর বিরল পদার্থ মনে করা হয় না। তবে হীরার যে বিশেষ গুণ আছে, সেটা বিরল। হীরা শুধু কার্বন দিয়ে তৈরি, তবে এর পরমাণুগুলো একটি ক্রিস্টাল স্ট্রাকচারে শক্তভাবে লেগে থাকে। সূত্র : ডয়চে ভেলে। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।