আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতালীয় খাদ্য ঐতিহ্য রক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরীক্ষাগারে উৎপাদিত মাংস এবং অন্যান্য কৃত্রিম খাবার নিষিদ্ধ করতে একটি বিল পাস করতে যাচ্ছে ইতালির ডানপন্থী সরকার। এই বিল পাস হলে এর আওতায় আইন ভঙ্গকারীকে ৬০ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) মন্ত্রিসভায় বিলটি অনুমোদিত হয়। এর আওতায় প্রাণীকে হত্যা না করে প্রাণীর কোষ থেকে উৎপাদিত কৃত্রিম খাবার নিষিদ্ধ করা হবে এবং পরীক্ষাগারে তৈরি মাছ ও কৃত্রিম দুধের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
কৃষি ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব মন্ত্রী ফ্রান্সেসকো ললোব্রিগিদা ইতালির খাদ্য ঐতিহ্যের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, পরীক্ষাগারে তৈরি পণ্য গুণমান, সুস্থতা এবং ইতালীয় খাদ্য ও ওয়াইন সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সুরক্ষার গ্যারান্টি দেয় না, যার সাথে আমাদের ঐতিহ্য যুক্ত।
ইতালির কৃষকরা এই পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও, কিছু প্রাণী কল্যাণ গোষ্ঠী যারা পরীক্ষাগারে তৈরি মাংসকে কার্বন নির্গমন, খাদ্য সুরক্ষা ও পরিবেশকে রক্ষা করাসহ সমস্যার সমাধান হিসাবে দেখে, তাদের জন্য এই বিল বড় একটি ধাক্কা।
কোল্ডিরেটি এবং অন্যান্য কৃষি লবি সাম্প্রতিক সময়ে ‘প্রাকৃতিক খাদ্য বনাম কৃত্রিম খাদ্য’ সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে পাঁচ লাখ সই সংগ্রহ করেছে। সইকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা কেবলমাত্র আমাদের কৃষকদের সাথে এমন একটি পদক্ষেপ উদযাপন করতে পারি যা আমাদের কৃষকদের অগ্রগামী করে তোলে, শুধুমাত্র শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষার ইস্যুতে নয়… বরং ভোক্তাদের রক্ষা করার ক্ষেত্রেও’।
এর আগে ইতালিতে পিৎজা বা পাস্তায় ঝিঁঝিঁপোকা এবং পঙ্গপালের মতো পোকামাকড় থেকে প্রাপ্ত ময়দা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে একটি ডিক্রি জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ‘সতর্ক মূল্যায়নের’ পরে মানুষের ব্যবহারের জন্য সেল-কালচারড মুরগির অনুমোদন দিয়েছে। ২০২০ সালে সিঙ্গাপুর ল্যাবে তৈরি মুরগির মাংসকে নাগেটে ব্যবহার করার জন্য নিয়ন্ত্রক অনুমোদন দেয়।
এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ব্যাপারে অনুমোদন দেয়নি। তবে ইউরোপীয় খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করেছে যে, ‘স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ খাদ্য ব্যবস্থার জন্য কোষ-ভিত্তিক কৃষি যেমন কালচারড মাংসকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল এবং উদ্ভাবনী সমাধান হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।