লায়লা ও মামুনকে আইনি নোটিশ

বিনোদন ডেস্ক : সামাজিক মাধ্যমে কন্টেন্ট নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় ছিলেন প্রিন্স মামুন ও লায়লা। বিশেষ করে তাদের ‘অসম প্রেম’ নিয়ে দেশজুড়ে ছিল ব্যাপক আলোচনা। তবে হঠাৎ করেই ঘটে ছন্দপতন। মদ্যপান করতে বাধা দেওয়ায় লায়লাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে।

এরপর থেকেই মামলা ও হামলার ঘটনা যেন থামছেই না। বিচ্ছেদ ও মামলার পর এবার আবারও আলোচনায় এসেছেন এই জুটি। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে টিকটকার ঐশী ও মামুনের একাধিক ‘অশ্লীল’ ভিডিও। মামুনের অভিযোগ, লায়লাই এসব ভিডিও ভাইরাল করেছেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম লায়লা ও মামুনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।
অশ্লীল ভিডিও ও কনটেন্ট প্রকাশের মাধ্যমে দেশের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করার অভিযোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলামের পক্ষ থেকে সাধারণ নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করেই এই আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মূলত টিকটক, ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লায়লা-মামুনের প্রকাশিত ভিডিও কনটেন্টগুলোকে অশ্লীল ও অনৈতিক উল্লেখ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে, এসব কনটেন্ট দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী বলেও দাবি করেন।

অন্যদিকে, শনিবার (১০ মে) লায়লার বাড়িতে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন মামুন। লাইভে তিনি অভিযোগ করেন, লায়লাই সোশ্যাল মিডিয়ায় মামুনের ব্যক্তিগত ভিডিওগুলো প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাইভে লায়লার সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়ান মামুন। প্রায় ৩০ মিনিটের ওই লাইভে মামুন বারবার লায়লাকে গালিগালাজ করেন এবং তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো নিয়েও সরাসরি মন্তব্য করেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে টিকটকার লায়লা বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় কারাবরণ শেষে জামিনে মুক্তি পান মামুন। জামিনের পর তাদের সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক হলেও তা স্থায়ী হয়নি।
এরপর নতুন করে শুরু হয় বিবাদ, যা সময়ের সঙ্গে আরও তীব্র আকার ধারণ করে।

গভীর রাতে ৭৫০ জনকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা, বিজিবি-জনতার বাধায় পিছু হটল বিএসএফ

এদিকে, মামুন ও আরেক টিকটকার অনামিকা ঐশীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।