জুমবাংলা ডেস্ক : লাল বাঁধাকপি চাষে তার সফলতা দেখে স্থানীয় অনেক কৃষক লাল বাঁধাকপি চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। উচ্চ ফলন ও বাজারে ভালো দাম থাকে বলে লাল বাঁধাকপি চাষ করেন কৃষক বেলাল। এই লাল বাঁধাকপি চাষ করেই তার ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন। লাল বাঁধাকপি দেখতে প্রতিদিন তার জমিতে ভীড় করেন।
কৃষক বেলাল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। চলতি মৌসুমে তিনি তার দেড় বিঘা জমিতে লাল বাঁধাকপি চাষ করেছেন। খুব অল্প সময়েই লাল বাঁধাকপিতে ভরে উঠেছে তার জমি। লাল বাঁধাকপি চাষে তার এমন সাফল্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ তার বাড়িতে আসছেন। লাল বাঁধাকপি চাষে তার এমন সাফল্য দেখে অনেক কৃষক আগ্রহী হচ্ছেন। তিনি ইতোমধ্যে ২ লাখ টাকার বাঁধাকপি বিক্রি করেছেন।
চাষি বেলাল হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে আমার দেড় বিঘা জমিতে লাল বাঁধাকপি লালিমা চাষ করি। আবহাওয়া ও মাটি ভালো থাকায় বাম্পার ফলন হয়। গত বছর লাল বাঁধাকপি চাষ করে লাভবান হয়েছিলাম। তাই এবছরও চাষ করেছি। বাঁধাকপির পাশাপাশি বিদেশি সবজি ব্রকলিও চাষ করেছি। পাইকারি প্রতি পিস বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি। ইতোমধ্যে ২ লাখ টাকার লাল বাঁধাকপি বিক্রি করেছি। আশা করছি আরো বিক্রি করতে পারবো। এতে প্রতিদিন প্রায় ১২০০-২০০০ টাকা আয় করতে পারছি।
কৃষক বেলাল আরও বলেন, লাল বাঁধাকপিতে ঔষুধি গুণ রয়েছে। খেতে সুস্বাদু, দামও বেশ ভালো। আমার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে তারাও আগামীতে লাল বাঁধাকপি চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সুন্দর ও আর্কষণীয় নতুন দুই জাতের এই সবজি দেখতে বিভিন্ন এলাকা দেখে লোকজন আমার বাড়িতে আসেন।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. বেলাল হোসেন বলেন, লাল বাঁধাকপি খুবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজি। এতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, সি, কে, পটাশিয়ামসহ প্রচুর আয়রন রয়েছে যা মানব দেহের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আমরা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে চাষের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি। চলতি মৌসুমে ফুলছড়িতে ৭০ শতাংশ জমিতে লাল বাঁধাকপির চাষ হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।