বিনোদন ডেস্ক: আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ার। লাস্যময়ী তরুণী অভিনেত্রী থেকে এক চোখের দজ্জাল শাশুড়ির চরিত্র, সব জায়গায় সাবলীল তিনি । খল চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন প্রচুর। তবে পর্দায় কঠিন নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তব জীবনটা কোনো দুঃখভরা সিনেমা থেকেও কম ছিল না কিংবদন্তী এই অভিনেত্রীর।
অসংখ্য টিভি নাটক ও সিনেমায় কাজ করেছেন ললিতা পাওয়ার। তবে তার সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র ‘রামায়ানা’ সিনেমায় মান্থারা। যে খলচরিত্র তাকে হাজারো দর্শকের ঘৃণা এনে দিয়েছিল, যা একজন খলচরিত্রের অভিনেত্রীর জন্য বড় পাওয়া।
ছোটবেলায় স্কুলে যাননি ললিতা। কারণ সে সময়ে মেয়েদের পড়াশোনা করানোর রীতি ছিল না। খুব ছোট বয়সেই তাই কাজের খোঁজ করতে হয় তাকে। অনেক ছোট বয়সে মাত্র ১৮ পয়সার বিনিময়ে সিনেমায় শিশু অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ললিতা পাওয়ার। এরপর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরী এই অভিনেত্রীর জয়জয়কার চারিদিকে গুঞ্জন ফেলতে থাকে। তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
১৯৪২ সালে ‘জাং-ই-আজাদী’ সিনেমার শ্যুটিং করছিলেন ললিতা। একটি দৃশ্যে বিখ্যাত অভিনেতা ভাগওয়ান দাদার ললিতাকে থাপ্পড় মারার কথা ছিল। ক্যামেরা অন হতেই এত জোরে ললিতার গালে থাপ্পড় বসান ভাগওয়ান যে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যায় ললিতা আর তার কান গড়িয়ে রক্ত পড়তে থাকে। দ্রুত তাকে ডাক্তারের কাছে নেওয়া হলে ডাক্তারের ভুল ওষুধে ললিতার ডান সাইডের শরীর প্যারালাইসিস হয়ে যায়। যার ফলে তার ডান চোখ সম্পূর্ণ কুচকে যায় এবং তার চেহারা নষ্ট হয়ে যায়।
মর্মান্তিক এই ঘটনার পর কাজ পাওয়া বন্ধ হয়ে যায় ললিতার। তবে ১৯৪৮ সালে নষ্ট চোখ নিয়েই সিনেমায় আবার আবির্ভূত হন নতুন এক ললিতা পাওয়ার। এরপর সেই চোখই তাকে এনে দেয় খ্যাতির জোয়ার।
সূত্র: নিউজ ট্র্যাক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।