যশোরের ‘লালু পালোয়ান’, দাম হাঁকাচ্ছে ৫ লাখ

জুমবাংলা ডেস্ক: আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে বাড়িতে বিশাল আকৃতির একটি ষাঁড় লালন-পালন করেছেন আসমা খাতুন। শখ করে নাম রেখেছেন ‘লালু পালোয়ান’। মাত্র তিন বছরে ষাঁড়টির ওজন হয়েছে ৮০০ কেজি (২০ মণ)। এর দাম হাঁকছেন পাঁচ লাখ।

ষাঁড়টির মালিক আসমা খাতুনের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার কন্যাদহ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায়। লালু পালোয়ানকে এক নজর দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন।

ইউটিউবে বড় বড় গরু দেখে তা পালনের শখ জাগে আসমা খাতুনের। এখন বাড়িতে জন্ম নেওয়া নেপাল জাতের ষাঁড়টি তার স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছে। মাত্র তিন বছরেই তৈরি করে ফেলেছেন ‘লালু পালোয়ান’ নামের শখের ষাঁড়টিকে।

৪ দাঁতের ষাঁড়টির উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট। ওজন ৮০০ কেজি। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৬ ফুট। কোনো হরমোন ইনজেকশন ছাড়াই প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে সন্তানের মতো করে ষাঁড়টিকে বড় করেছেন আসমা খাতুন।

আসমা খাতুন বলেন, অনেক কষ্ট করে সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি লালু পালোয়ানকে। এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। তাকে রাখার মতো জায়গা আমার নেই। আমরা সাধারণ মানুষ। তাই ভালো দাম পেলে বিক্রি করে দেবো।

আসমা খাতুনের স্বামী বাবলু হোসেন বলেন, তিনি জমি মাপের (আমিন) কাজ করেন। পাশাপাশি বাড়িতে গরু পালন করেন। এর দেখাশোনা করেন তার স্ত্রী আসমা খাতুন।

শার্শা বাজার থেকে আসা জাফর উদ্দিন বলেন, মানুষের মুখে শুনে কন্যাদাহ গ্রামের আসমা খাতুনের ষাঁড়টি দেখতে এসেছি। আমারও ইচ্ছা হচ্ছে একটা গরুর খামার করার।

বেনাপোলের গরু ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ষাঁড়টি দেখলাম। তবে দামটা একটু বেশি। আরও কয়েকটি গরু দেখবো। তারপর সিদ্ধান্ত নেবো কোনটি কিনবো। আমাদেরও তো বিক্রি করতে হবে।

সাড়া ফেলেছে ৫০ মণের মামা-ভাগ্নে!