বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : শিরোনাম পড়েই হতাশ হয়ে গেলে এই তথ্যটি জেনে রাখা জরুরি- স্পোর্টস কার কেউ ব্যাটারিতে চালানোর কথা চিন্তাও করে না। সেই বাস্তবতায় ইতালির “ব্যাড বয় অন দ্য স্ট্রিট” নামে পরিচিত ব্র্যান্ডটি তাদের গাড়ি শুধু বিদ্যুতে চালানোর পথটি খুলেছে কেবল।
সম্প্রতি নিজেদের প্রথম ‘প্লাগ-ইন হাইব্রিড সুপারকার’ উন্মোচনের ঘোষণাতেই ব্যটারির ব্যবহার নিয়ে এই তথ্য দিয়েছে ইতালির বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা ল্যাম্বরগিনি।
‘ল্যাম্বরগিনি রেভুয়েলতো’ নামে পরিচিত নতুন এই গাড়ির নাম বাংলায় দাঁড়ায় ‘অগোছালো’। তবে, এর ব্যাটারি’র ক্ষমতা পর্যবেক্ষণের আগ পর্যন্ত গতি পছন্দ করা যে কোনো গ্রাহককে এটি আকৃষ্ট করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
নতুন ‘অল-ইলেকট্রিক’ মোডে ব্যবহারকারী বেশিদূর এগোতে পারবেন না। পূর্ণ চার্জে এটি চলবে কেবল নয় দশমিক নয় সাত কিলোমিটার। পশ্চিমাদের হিসাবে, সম্ভবত এতে মুদির দোকানে গিয়ে ফিরে আসার মতো যথেষ্টও নয়। তবে, এই হাইব্রিড গাড়ি শুধু বিদ্যুতে চলার জন্য তৈরিও হয়নি। যদিও গাড়ির সামনের চাকার ‘রিজেনারেটিভ ব্রেকিং’ ব্যবস্থার মাধ্যমে এর ইঞ্জিন কেবল ছয় মিনিটে নিজের তিন দশমিক আট কিলোওয়াটের ব্যাটারিতে চার্জ দিতে পারে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
বিলাসবহুল স্পের্টস কার কেনার বেলায় কোনো ক্রেতাই সম্ভবত ব্যাটারির ক্ষমতা নিয়ে ভাবেন না। আর, সেরা দশ গাড়ির তালিকায় এটি হয়তো জায়গাও পাবে না। তবে এর ইঞ্জিন নকশা করা হয়েছে শক্তি, গতিবেগ বৃদ্ধি ও সর্বোচ্চ গতির মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে।
এর তুলনামূলক হালকা ইঞ্জিন (দুইশ ১৭ কেজি) চমকপ্রদ সোয়া নয় হাজার আরপিএম-এর ঘুর্ণন গতিতে ৮১৪ হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি করতে পারে। কার্যক্ষমতা বিবেচনায় এটি পুরোদস্তর ল্যাম্বরগিনি গাড়ি, যেখানে গতিবান্ধব করার জন্য এর নকশায় ব্যাপক সংখ্যক বায়ু প্রবাহ পথ রয়েছে। এর ফলে, প্রতি লিটারে ১২৬ হর্সপাওয়ার শক্তির স্তর তৈরি হয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।
কোম্পানি বলছে, ‘ল্যাম্বরগিনির ১২ সিলিন্ডারের ইঞ্জিনের ইতিহাসে সবচেয়ে উন্নতমানের আউটপুট দেওয়া’ গাড়ি এটি।
মহাকাশ প্রকৌশল’সহ বিভিন্ন ভাষ্কর্য পৃষ্ঠ, নির্দেশিত রেখা ও ষড়ভুজাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে এর নকশা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট। পাশাপাশি, নিজেদের অতীত থেকেও নকশার কিছু অংশ নিয়েছে ল্যাম্বরগিনি। এর উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, ৭০’র দশকের বিভিন্ন ‘কুন্টাশ’ গাড়ির মডেলের উলম্বভাবে খোলা কাঁচি দরজা ও পেছনের ফেন্ডারের ভাসমান ব্লেড, যার যোগসূত্র আছে কোম্পানির ‘ডিয়াবলো’ সিরিজের সঙ্গে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।