আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কোকো নামক এলাকায় ভয়াবহ ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ৩৭ জন। গতকাল শনিবার কলম্বিয়ার কৌঁসুলির অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়। তবে কতজন আহত হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। মাটির নিচে এখনো অনেকে চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে খবরটি বলা হয়।
গতকাল সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কলম্বিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিয়া মার্কেজ জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। দুর্যোগ মোকাবিলা অধিদপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সেনাবাহিনী, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং চোকো পুলিশ উদ্ধারকার্যে একত্রে কাজ করছে বলেও জানান মার্কেজ। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য অন্তত ১৭টি মরদেহ মেডেলিনে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে আটকে পড়া মানুষের কাছে পৌঁছাতে উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে দেশটি। ভূমিধসের ঘটনায় মেডেলিন ও কুইবদো শহরের সংযোগ সড়কটি সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। ভূমিধসের সময় সেখানকার ব্যস্ত মহাসড়কেও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এমনকি রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়ি কাদায় চাপা পড়ার পর কিছু লোক নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা গেছে।
সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে পাহাড়ের বড় একটি অংশ ধসে পড়তে দেখা যায়। নিচের মহাসড়কে অনেকগুলো গাড়ির ওপর ধসে পড়ে পাহাড়ের বড় অংশ। জানা গেছে, ভূমিধসের প্রবলতা দেখে ধসের সময় রাস্তায় থাকা অনেকে পার্শ্ববর্তী একটি ভবনে আশ্রয় নেয়। তবে সেই ভবনও চাপা পড়ে মাটির নিচে।
সড়কে কাদামাটির পুরু আস্তরণ পড়ে যাওয়ায় প্রবল বর্ষণের পর ঘটা এই ভূমিধসের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ব্যবহার করা হচ্ছে হেলিকপ্টার।
গভর্নর নুবিয়া ক্যারোলিনা কর্ডোবা কুরি বলেছেন, ‘চোকোর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক সময় এখন। ভুক্তভোগীদের কষ্ট অনুভব করছে সবাই। যতক্ষণ নিশ্চিত না হব যে চোকোর জনগণ তাদের আত্মীয়দের সম্পর্কে তথ্য পেয়েছে, ততক্ষণ আমি বিশ্রাম নেব না।’
এর আগেও প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে কলম্বিয়ায়। ২০১৭ সালে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে মোকোয়া শহরে ভূমিধসে নিহত হয়েছিল শত শত মানুষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।