আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পড়াশোনা বা শিক্ষা তো দূরের কথা, প্রতিদিন পেট চালাতেই যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে পাকিস্তানিদের। সূত্রের খবর, চীনের কাছে যে ঋণ রয়েছে, তার ভারে চাপা পড়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। সরকারকে আইএমএফ-এর কাছে হাত পাততে হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে পাকিস্তানের নাগরিকদের একখানা রুটিও জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আটা, তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তানে। আর্থিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছিল অনেক দিন ধরেই। এবার তা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আইএমএফ-এর শর্তগুলো এতটাই কঠিন যে সরকারের পক্ষে জন্য সেগুলো মেনে নেয়াটাও সহজ হচ্ছে না।
দেশে প্রতি কেজি আটার দাম হয়েছে ৮০০ টাকা, তেলের দাম হয়েছে ৯০০ টাকা। পাকিস্তানিদের একটি রুটির জন্য খরচ করতে হচ্ছে প্রায় ২৫ টাকা। পাকিস্তানি রুপির মূল্যও ব্যাপকভাবে পড়ে যাচ্ছে।
খাবারের পাশাপাশি বাসস্থান, স্বাস্ পরিষেবা, শিক্ষাও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এদিকে, এমন পরিস্থিতিতেও প্রতিরক্ষা বাজেট ১৫ শতাংশ বাড়িয়েছে পাকিস্তান। সে দেশের অর্থমন্ত্রী মহম্মদ ঔরঙ্গজেবের মতে, দেশটির জিডিপি ৩.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার হতে পারে মাত্র ২.৩৮ শতাংশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।