লাইফস্টাইল ডেস্ক :ভারতে অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা হলো মৃত্যুদণ্ড অর্থাৎ ফাঁসি দেওয়া। অপরাধী দোষ করলে তাকে সাজা পেতেই হয়। তবে কখনো কখনো সেই অপরাধের পরিমাণ এতটাই বেশি হয় যে অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ছাড়া উপায় থাকেনা।
আপনি নিশ্চয়ই সিরিয়াল বা চলচ্চিত্রে দেখেছেন যে যখন একজন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, তখন সেই ব্যক্তির কাছ থেকে তার অবশ্যই শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবেছেন কেন একজন বন্দি বা অপরাধীকে তার শেষ ইচ্ছার কথা জিজ্ঞাসা করা হয়?
আসলে, ফাঁসির আগে বন্দীর শেষ ইচ্ছা জিজ্ঞেস করার কথা, বহু শতাব্দীর ধরেই চলে আসছে। কারণ, আগেকার দিনে মানুষ বিশ্বাস করতো মৃত ব্যক্তির শেষ ইচ্ছা পূরণ না হলে, তার আত্মা ঘুরে বেড়াতে থাকে। তাই আজও যখন একজন বন্দীর মৃত্যুদণ্ড হয় ফাঁসির আগে তার শেষ ইচ্ছাটা অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা হয়।
যদিও জেলের নিয়ম অনুসারে বন্দীদের শেষ ইচ্ছা পূরণের মত কোন বিধানের উল্লেখ নেই। কিন্তু ঐতিহ্য অনুযায়ী আজও বন্দীদের কাছে তাদের শেষ ইচ্ছা জিজ্ঞাসা করা হয়। তবে বন্দীদের শেষ ইচ্ছাগুলি খুবই সীমিত থাকে। শেষ ইচ্ছার নামে একজন অপরাধীর কেবল তিনটি ইচ্ছায় পূরণ করা হয়।
১) যদি কোন বন্দি তার পছন্দের খাবার খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তাহলে জেল প্রশাসন তার ইচ্ছা সানন্দে পূরণ করে।
২) এছাড়া শেষ ইচ্ছা হিসেবে বন্দী তার পরিবারের সদস্যদের সাথে যদি দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে, জেল প্রশাসন তাকে পুরো পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দেয়।
৩) যদি কোনো বন্দী তার শেষ সময়ে তার ধর্মের কোন পবিত্র গ্রন্থ পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তাহলে সেই ইচ্ছাও পূরণ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।