আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের রাস্তাগুলো থেকে নেড়ি কুকুর সরিয়ে নিতে একটি আইন পাশ করা হয়েছে। তবে কুকুরগুলোকে কেবল রাস্তা থেকে সরানোই হবে না, সেগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রেও পাঠানো হবে। আজ মঙ্গলবার তুরস্কের পার্লামেন্টে এ লক্ষ্যে একটি আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, শহরগুলোর কর্তৃপক্ষ কাজ হবে কুকুরগুলোকে রাস্তা থেকে সরিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। তবে কোনো কুকুর আক্রমণাত্মক আচরণ করলে বা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে সেটিকে মেরে ফেলা হবে।
আগের আইন অনুসারে, কর্তৃপক্ষ সড়কের কুকুরগুলোকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে টিকা দেওয়ার পাশাপাশি সন্তান জন্মদানে অক্ষম করে ছেড়ে দিত। কিন্তু নতুন আইনে কুকুরগুলোকে ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। খসড়া বিল অনুসারে, তুরস্কের কুকুরের সংখ্যা আনুমানিক ৪০ লাখ। গত ২০ বছরে প্রায় ২৫ লাখ কুকুরকে খোজা করেছে কর্তৃপক্ষ। আশপাশের বাসিন্দারা প্রায়ই এসব নেড়ি কুকুরের যত্ন নেন ও পোষা প্রাণীর মতো আচরণ করেন।
তুরস্কে বর্তমানে ৩২২টি পশু আশ্রয়কেন্দ্র আছে। এগুলোতে ১ লাখ ৫০ হাজার কুকুর রাখার সক্ষমতা আছে। তাদের পুনর্বাসন পরিষেবা ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য বাজেটে দশমিক ৩ শতাংশ বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, নতুন আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও বর্তমান আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর উন্নতির জন্য কর্তৃপক্ষকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে।
তবে লাখ লাখ নেড়ি কুকুরকে আটক করে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর এমন পরিকল্পনায় খেপেছে তুরস্কের পশুপ্রেমীরা। তাঁরা বলছেন, কুকুরগুলোকে গণহারে বাচ্চা জন্মদানে অক্ষম করে দেওয়া এর চেয়ে ভালো সমাধান। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হাজার হাজার মানুষ এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছে, এ সময় ঘটেছে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনাও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।