সাইফুল ইসলাম : কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আমাদের সময় আর বেশিদিন নেই— আগামী পাঁচ-ছয় মাস আছে। এর মধ্যেই কৃষি জমি সুরক্ষা আইন পাশ করা হবে। যাতে কৃষিজমি অন্য খাতে ব্যবহার করা না যায়।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের মেদুলিয়া এলাকায় ফার্মারস মিনি কোল্ড স্টোরেজ উদ্বোধন শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, শিল্প কারখানা ও অন্যান্য অবকাঠামোর জন্য আলাদা জমি থাকবে। সড়ক অধিগ্রহণের সময় সড়ক বিভাগ জমির মালিককে তিনগুণ ক্ষতিপূরণ দিলেও এলজিইডি কোনো অর্থ দেয় না। এলজিইডির প্রকল্পেও ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা যেন তিনগুন ক্ষতিপূরণ পায় সেটি নিশ্চিত করা হবে।
উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শীতকাল থেকে গ্রীষ্মকালীন সবজি আসা পর্যন্ত মাঝখানে প্রায় এক থেকে দেড় মাসের একটি সময় থাকে। এ সময়ে কৃষকরা যাতে সবজি সংরক্ষণ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০টি মিনি কোল্ড স্টোরেজ করা হবে, পরবর্তীতে সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এর মাধ্যমে কৃষকরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি ভোক্তারাও লাভবান হবেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, শীতকালে মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউসহ বিভিন্ন সবজি গরুকে খাওয়াতে হয় অথবা খুব কম দামে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু এই সবজি কিছুদিন সংরক্ষণ করা গেলে পরে বেশি দামে বিক্রি করা সম্ভব হয়। এজন্যই মিনি কোল্ড স্টোরেজ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, চাইলে ব্যক্তিগতভাবেও এই মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা যাবে। কেউ নিজে করতে চাইলে আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়া হবে।
এসময় তিনি কৃষি প্রণোদনা বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কৃষিজমির যে টপসয়েল তা অনেক সময় ইটভাটার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এটি খুবই অন্যায়। টপসয়েল নষ্ট করে দিলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। তাই জমির টপসয়েল বিক্রি করা যাবে না।
এ সময় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, জেলা প্রশাসক মানোয়ার হোসেন মোল্লা, জেলা পুলিশ সুপার মোসা. ইয়াসমিন খাতুন, জেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. রবীআহ্ নূরসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় কৃষকের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারাদেশে প্রযুক্তিসম্পন্ন সাশ্রয়ী ১০০ টি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হবে। প্রতিটি কোল্ড স্টোরেজ দিনের বেলায় সৌর বিদ্যুত আর রাতের বেলায় বিদ্যুতে চলবে। প্রতিটি কোল্ড স্টোরেজে ৫-৭ মেট্রিকটন সবজি রাখা যাবে। আর প্রতি কেজি সবজি সাতদিনের জন্য কৃষকদের ভাড়া দিতে হবে দুই টাকা করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।