লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বীর বিক্রম। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দলটির প্রেসিডেন্টের কাছে তিনি এই পদত্যাগপত্র পাঠান।

এর আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য থেকে হাসান সারওয়ার্দীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।দলের মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
পদত্যাগপত্রে হাসান সারওয়ার্দী লিখেছেন,‘গত ২০ ডিসেম্বর আমাকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে সাময়িকভাবে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যের পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে (কপি সংযুক্ত)। বহিষ্কারাদেশটি এলডিপির গঠনতন্ত্রের ৬৩ ধারার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।’
তিনি লেখেন, ‘বহিষ্কারাদেশ সরাসরি প্রেস ও মিডিয়াতে পাঠিয়ে প্রচার করা হয়েছে, অথচ এই চিঠি অদ্যবধি আমাকে প্রেরণ করা হয়নি। অর্থাৎ যে প্রক্রিয়ায় আদেশ প্রেরণ করা হয়েছে তা ছিল সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী, অগণতান্ত্রিক ও এখতিয়ার বহির্ভূত। এতে জনমনে আমার সম্মান, মর্যাদা চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। দলের ভেতরে অগণতান্ত্রিক চর্চার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এখানে ন্যূনতম মানব মর্যাদা, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারের তোয়াক্কা করা হয়নি।’
‘এমন একটি দলের সদস্য হয়ে আমি নিজেকে অপমানিত, লজ্জিত ও লাঞ্ছিত মনে করছি। কারণ, আমি গত ২ দিন ধরে দলের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে একটি লিখিত নির্দেশ / বার্তা আশা করেছি। যেখানে তিনি তার অবর্তমানে ও প্রেসিডিয়াম সদস্যের মিটিং ব্যতীত এ সিদ্ধান্ত বাতিল বা স্থগিত বলে ঘোষণা করবেন, কিন্তু তিনি তা করেননি’, যোগ করেন হাসান সারওয়ার্দী।
তিনি লেখেন, ‘আমার ধৈর্যের বাধ ভাঙ্গার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই সংগঠনে আমার থাকার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এতে আমার সম্মান, ইজ্জতহানির সম্ভাবনা বাড়বে। যে সংগঠনের মহাসচিব অন্য একটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থ রক্ষার জন্য সর্বদা নিয়োজিত থাকেন সেই সংগঠন একটি অনিরাপদ আশ্রমে পরিণত হবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি রাজনীতিতে সম্মান, মর্যাদা ও গণতন্ত্রের চর্চাকে গুরুত্ব দেই। দলের সদস্যসহ জনগণের সহানুভূতির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।অতএব, অনুগ্রহ পূর্বক আমার পদত্যাগপত্রটি আজ সকাল ৯টায় গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



