আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতি চুক্তি গত বুধবার কার্যকর হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে ১৪ মাস ধরে চলা সংঘর্ষের অবসান ঘটানোর উদ্দেশ্যেই এ চুক্তি করা হয়েছে। কিন্তু অস্ত্রবিরতির দ্বিতীয় দিনে একটি সতর্কবার্তা জারি করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি গ্রামে লেবাননের সাধারণ নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসরায়েল।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, ইসরায়েল সেনাবাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র আভিখাই আদ্রাই বৃহস্পতিবার(২৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে গ্রামগুলোর নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত’ এসব এলাকায় প্রবেশ এড়িয়ে চলতে হবে।
আদ্রাই তার বার্তায় গ্রামগুলোর মানচিত্র সংযুক্ত করেন। যেখানে শেবা, হেববারিয়া, মারজাইউন, ইয়োহমর, বারাচিতসহ অন্যান্য গ্রামের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সতর্কবার্তায় তিনি বলেন, যে যদি এই সীমা অতিক্রম করে, তাহলে সে নিজের বিপদ ডেকে আনবে।
অস্ত্রবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী:
১) ইসরায়েল ধাপে ধাপে ব্লু-লাইনের দক্ষিণে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে।
২) লেবাননের সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননে তাদের বাহিনী মোতায়েন করবে। এই প্রক্রিয়া সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
৩) এই চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া তদারকি করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স। তবে এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত এখনও পরিষ্কার নয়।
যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি:
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ৩,৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১০ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ:
এই সংঘর্ষবিরতি কার্যকর হলেও দক্ষিণ লেবাননের নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলোতে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তির বাস্তবায়ন এবং এর প্রতিপক্ষগুলোর প্রতিশ্রুতি সংঘর্ষের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।