লাইফস্টাইল ডেস্ক : আজকাল গাড়ি থেকে বাড়ি সব জয়গাতেই এলইডি লাইটের ব্যবহার চোখে পরে। কেন হবে নাই বা বলুন, এই বিশেষ ধরনের লাইটগুলির দাম যেমন কম, তেমন চলেও বহুদিন। উপরন্তু আলোও হয় অনেক বেশি। কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গায়, এলইডি লাইট কী আমাদের শরীরের জন্য ভাল? এই যে অনেকে বলে এই ধরনের লাইটের কারণে নাকি আমাদের চোখের ক্ষতি হয়, এই ধরণা কি ঠিক?
ভয় পাওয়াটা অবাস্তব নয়
লাইট এমিটিং ডিওডেডস বা এল এল ই ডি লাইট অ্যালুমিনিয়াম গ্যালিয়াম আর্সেনাইড নামে বিশেষ এক ধরনের ক্ষতিকর উপাদান বা টক্সিন দিয়ে তৈরি হয়, যা মানব শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বেশি কিছু জানা না গেলও একাধিক প্রাণীর উপর এই টক্সিক উপাদানের প্রয়োগ করে যে ফলাফল পাওয়া গেছে তা বেশ ভয়ানক। দেখা গেছে দীর্ঘদিন ধরে এই বিশেষ ধরনের টক্সিক উপাদানের সংস্পর্শে এলে কিডনি এবং লাঞ্চ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, সেই সঙ্গে বাচ্চা হওয়ার ক্ষেত্রেও নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তাই এবার থেকে এল ই ডি নাইট ব্যবহারের সময় সাবধান হবেন। লাইটটি লাগানোর পর ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
চোখের ক্ষতি হওয়াক অশঙ্কা থাকে কি?
এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে এল ই ডি লাইটের করণে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়। যদিও এই ক্ষতি একদিনে হয় না। দীর্ঘ দিন ধরে এমন আলো সরাসরি চোখে লাগতে থাকলে রেটিনার কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। আর একবার রেটিনা সেল খারাপ হতে শুরু করলে সেগুলিকে পুনরায় আর সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয় না। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে শুরু করে। তাই তো এই বিষয়ে সাবধান থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। সম্প্রতি প্রাকাশিত এক গবেষণায় উল্লেখ রয়েছে এই ধরনের লাইট থেকে এক ধরনের নীল আভা বেরয়, যা চোখের ক্ষতি করে থাকে। সেই করণেই তো বিশেষজ্ঞরা এল ই ডি লাইটের উপর ফিল্টার ব্যবহারের পরামর্শ দেন, এমনটা করলে নীল আলো সরাসরি আমাদের চোখে এসে পরে না। ফলে ক্ষতিক আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, এক জন মানুষের চোখ এক বছরে প্রায় ৬০০০ ঘন্টা খোলা থাকে। এই পুরো সময়টা যদি কেউ এল ই লাইটের আভার মধ্যে থাকে তাহলে চোখের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
সব এল ই ডি লাইটই কি ক্ষতিকর?
সহজ কথায় যে লাইটগুলি থেকে কম পরিমাণে নীল আভা বেরয় সেগুলি চোখ এবং শরীরের পক্ষে একেবারেই খারাপ নয়। তবে সমস্যাটা হল সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়, কোন লাইট থেকে নীল আভা বেরচ্ছে, আর কোনওটা থেকে নয়। তবে এক্ষেত্রে কতগুলি সহজ পদ্ধতি বেশ কাজে আসতে পারে। যেমন, এমন ধরনের লাইট কেনার আগে দেখে নেবেন তার “সি আর আই” কত আছে। যদি দেখেন সি আর আই ৯৭ আছে তাহলে সেটি কিনবেন। আরেকটি বিষয় দেখে নিতে হবে, সেটি হল কালার টেম্পারেচর। যে সব লাইটের কালার টেম্পারেচর ২,৭০০ ডিগ্রি কেলভিন বা তার নিচে সেগুলি চোখের পক্ষে কম ক্ষতিকারক।
খোলামেলা রোমান্সের দৃশ্যে ভরপুর এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
এল ই ডি থেকে বেঁচে থাকার উপায়?
যে ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশ করে না, শুধু লাইটের মাধ্যমেই আলোকিত থাকে, সে জায়গায় এল ই ডি লাইট ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ সূর্যালোক অনেক ক্ষেত্রেই এল ই ডি লাইটের ক্ষতি করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তাই আপনার ঘরে সূর্যের আলো যাতে সব সময় প্রবেশ করে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আর রাতের বেলা যতটা সম্ভব এল ই ডি লাইট কম ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। তাহলেই দেখবেন এর থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পাবে। প্রসঙ্গত, যত বেশি এল ই ডি লাইটের নীল আভার মধ্যে থাকবেন, তত শরীরে মেলাটোনিনের উৎপাদন কমবে, ফলে চোখ এবং শরীর, উভয়েরই ক্ষতি হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।