ধর্ম ডেস্ক : আয়াতের অর্থ : ‘লোকে তোমাকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে, বলো যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আল্লাহ ও রাসুলের; সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং নিজেদের মধ্যে সদ্ভাব স্থাপন করো আর আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো, যদি তোমরা মুমিন হও।’
(সুরা : আনফাল, আয়াত : ১)
আনফাল পবিত্র কোরআনের অষ্টম সুরা, যা মদিনায় অবতীর্ণ। সুরা আনফালে যুদ্ধ ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে।
শিক্ষা ও বিধান
১. আনফাল অর্থ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ।
‘নাফলুন’ শব্দমূল থেকে গৃহীত। অর্থ অতিরিক্ত। যুদ্ধলব্ধ সম্পদ মুমিনের অতিরিক্ত প্রাপ্তি হওয়ায় তাকে আনফাল বলা হয়। কেননা তাদের মূল প্রাপ্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি।
২. গনিমত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বলা হয়েছে। কেননা তা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সম্মানে তাঁর উম্মতের জন্য বৈধ করেছেন। পূর্ববর্তীদের গনিমত বৈধ ছিল না।
৩. যুদ্ধলব্ধ সম্পদের পাঁচ ভাগের চার ভাগ যোদ্ধারা পাবে।পদাতিক এক ভাগ এবং অশ্বারোহী দুই ভাগ লাভ করবে। (তাফসিরে শারভি, পৃষ্ঠা ১১৪৯)
৪. যুদ্ধলব্ধ সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের জন্য নির্ধারিত। বর্তমানে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগার তথা বায়তুল মালে যুক্ত হবে।
৫. কোনো যোদ্ধা বিশেষ কৃতিত্ব দেখালে এবং রাষ্ট্র তাকে পুরস্কৃত করতে চাইলে যোদ্ধাদের অংশ থেকে না দিয়ে রাষ্ট্রের অংশ থেকে দেবে। (তাফসিরে কুরতুবি : ৭/৩৬০)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।