ধর্ম ডেস্ক : আয়াতের অর্থ : ‘হে কারা-সঙ্গীদ্বয়! তোমাদের দুজনের একজন তার প্রভুকে মদ পান করাবে এবং অপরজন শূলবিদ্ধ হবে। অতঃপর তার মাথা থেকে পাখি আহার করবে। যে বিষয়ে তোমরা জানতে চেয়েছ তার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। ইউসুফ তাদের মধ্যে যে মুক্তি পাবে মনে করল, তাকে বলল, তোমার প্রভুর কাছে আমার কথা বোলো।
কিন্তু শয়তান তাকে তার প্রভুর কাছে তার বিষয়ে বলার কথা ভুলিয়ে দিল; সুতরাং ইউসুফ কয়েক বছর কারাগারে রইল।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৪১-৪২)
আয়াতদ্বয়ে অপরাধীদের সঙ্গে ইউসুফ (আ.) উত্তম আচরণের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা ও বিধান
১. দ্বিন প্রচারকরা পাপী ও অপরাধীদের ব্যাপারে কখনো বিমুখ হয় না। যেমন ইউসুফ (আ.) কারাগারে অপরাধীদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করেন।
২. জেলবন্দি ও অপরাধীদের সংশোধনের সর্বোত্তম মাধ্যমে সদাচার করা।
৩. আয়াত থেকে বোঝা যায়, কোনো বিপদ থেকে বাঁচার জন্য কারো মাধ্যমে চেষ্টা-তদবির করা তাকওয়ার পরিপন্থী বা নিষিদ্ধ নয়।
৪. তবে যাঁরা আলেম ও সমাজে ধর্মীয় নেতৃত্ব দেন, তাঁরা দুনিয়াদার ও পাপীদের দ্বারস্থ না হওয়াই উত্তম।
৫. আমলে মিসালে (প্রত্যাকৃতি জগৎ) ঘটনাবলির যে আকার থাকে, স্বপ্নে মানুষ তা-ই দেখে।
এসব আকৃতির বিশেষ অর্থ আছে। স্বপ্নের ব্যাখ্যা শাস্ত্র এসব অর্থ জানার ওপর নির্ভরশীল। (মাআরেফুল কোরআন : ৫/৫৯)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।