ধর্ম ডেস্ক : আয়াতের অর্থ : ‘অতএব তুমি যে বিষয়ে আদিষ্ট হয়েছ তা প্রকাশ্যে প্রচার করো এবং মুশরিকদের উপেক্ষা করো, আমিই যথেষ্ট তোমার জন্য বিদ্রুপকারীদের বিরুদ্ধে, যারা আল্লাহর সঙ্গে অপর ইলাহ নির্ধারণ করেছে। সুতরাং শিগগিরই তারা জানতে পারবে। আমি জানি, তারা যা বলে তাতে তোমার অন্তর সংকুচিত হয়।…এবং তুমি সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হও।
তোমার মৃত্যু উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার প্রতিপালকের ইবাদত করো। (সুরা : হিজর, আয়াত : ৯৪-৯৯)
আয়াতে নবীজি (সা.)-এর সম্মানহানির বিধান বর্ণনা করা হয়েছে এবং তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা ও বিধান
১. দ্বিন প্রচার ও আল্লাহর বিধান পালনে মুমিন অন্যের সমালোচনার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবে না।
২. জেনে-বুঝে মহানবী (সা.)-এর সম্মানহানি করা হারাম এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ—তা যেভাবেই করা হোক, যে মাধ্যমেই করা হোক।
৩. শরিয়তে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সম্মানহানি করার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং আল্লাহ প্রদত্ত জাগতিক শাস্তি ‘অপমৃত্যু’। মক্কায় নবীজি (সা.)-কে কষ্ট দেওয়া সব কুরাইশ নেতার নির্মম মৃত্যু হয়েছিল।
এবার হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠালে এডিট করে দেবে AI! ব্যাপারটা কী?
৪. আয়াত দ্বারা প্রমাণিত, আল্লাহর জিকির বা স্মরণ মানুষের মনঃকষ্ট দূর করে, মন হালকা করে।
৫. আমৃত্যু আল্লাহর বিধান পালন করা আবশ্যক।
ইবাদত-সাধনার কোনো স্তরে পৌঁছানোর পর ব্যক্তি শরিয়তের দায়বদ্ধতা থেকে মুক্ত হয় না। (তাফসিরে তাবারি : ৪/৪৯৫; তাফসিরে মুনির : ৭/৩৮২)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।