সাইফুল ইসলাম : ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তরুণীর অর্ধনগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এলজিইডির এক উপসহকারী প্রকৌশলী গ্রেফতার হয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে ফেসবুকে সামিউল আলীম (২২) নামের এক যুবকের সাথে পরিচিত হন এক কলেজ শিক্ষার্থী। পরিচয়ের পর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত ভিডিও কলে কথাও বলতেন তাঁরা। একপর্যায়ে, সামিউল আলীম তরুণীকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে এবং ভুল বুঝিয়ে অর্ধনগ্ন হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
তবে, তরুণী কিছুদিন পর বুঝতে পারেন যে, সামিউল আলীম একাধিক মেয়ের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং তার চরিত্রও ভাল নয়। এর ফলে, তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সামিউল আলীম তার মোবাইল ফোনে তরুণীর অর্ধনগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন। তিনি তরুণীকে হুমকি দেন যে, যদি তারা সম্পর্ক বজায় না রাখে, তবে আট লক্ষ টাকা দাবি করে এবং তা না দিলে, তরুণীর অর্ধনগ্ন ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবেন।
গত ২৮ অক্টোবর, সামিউল আলীম তার হুমকি অনুযায়ী বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপে তরুণীর অর্ধনগ্ন ভিডিও শেয়ার করেন এবং তরুণীর ছোটবোনের মেসেঞ্জারে লিঙ্ক পাঠিয়ে দেন। এতে তরুণী শুধু তার ব্যক্তিগত জীবন নয়, সামাজিক মর্যাদাও হারান।
ভুক্তভোগী তরুণী মানিকগঞ্জ সদর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্তে নামে। বুধবার সন্ধ্যায় বরগুনা সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে অভিযুক্ত উপসহকারী প্রকৌশলী সামিউল আলীমকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত সামিউল আলীম ঢাকার সাভার থানার বজলুর রহমানের ছেলে। তিনি বরগুনা সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, “গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে, আসামীর রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়নি। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



