জুমবাংলা ডেস্ক : মধুমাস জ্যৈষ্ঠের অন্যতম সুস্বাদু ফল লিচু। বাজারে মাত্র দুই থেকে তিন সপ্তাহ থাকে এ ফলের দাপট। বিক্রি হয় গণনা করে। তবে, কুমিল্লার চান্দিনায় লিচু বিক্রি হচ্ছে কেজি ধরে। এতে বেশ চটেছেন ক্রেতারা। তাদের দাবি, সিন্ডিকেট করে কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে লিচু।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশন থেকে শুরু করে উপজেলা সদরের বাজারটিতে অন্তত স্থায়ী-অস্থায়ী ৩০টি ফল দোকানে বিক্রি হচ্ছে লিচু। প্রতিটি দোকানেই লিচু বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা থোকা থেকে লিচু ছাড়িয়ে কেজি দরে বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ২০০ টাকা করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লিচু বিক্রেতারা কুমিল্লার সবচেয়ে বড় সবজি বাজার নিমসার থেকে হাজার হিসেবে লিচুর ঝুড়ি কিনেন। আকার ও মান ভেদে ১৮০০ থেকে তিন হাজার ২০০ টাকায় লিচু কিনে আনেন। দুই ঝুড়ি ছোট আকারের লিচুর সঙ্গে এক ঝুড়ি মাঝারি আকারের লিচু মিশিয়ে কেজি দরে বিক্রি করে। ক্রেতারা এক কেজি লিচু কিনে পাচ্ছেন ৪০ থেকে ৪৫ পিস।
লিচু ক্রেতা মহারং গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, ‘জন্মের পর থেকে কখনও কেজি দরে লিচু কিনি নাই। এ বছর চান্দিনা বাজারে নতুন কৌশল চালু করেছে ব্যবসায়ীরা। গত এক সপ্তাহ আগে সকল লিচু ব্যবসায়ীরা মিটিং করে ওই সিন্ডিকেট করে। পরদিন থেকে চান্দিনা বাজারে কোনো লিচু থোকায় দেখা যায় না। ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের ধোকা দিচ্ছেন। থোকায় থাকা লিচু ক্রেতারা দেখে বুঝে শুনে কিনতে পারত। এখন আর সেই সুযোগ নাই। এখন তারা (ব্যবসায়ীরা) যেভাবে যা দেয় তাই নিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।’
লিচু ক্রেতা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি ৫০০ টাকায় আড়াই কেজি লিচু কিনি। বাসায় গিয়ে গুণে পাই ১০০ পিস। সেই হিসেবে প্রতি পিচ লিচুর দাম পড়েছে পাঁচ টাকা। থোকায় থাকা লিচু পিস হিসেবে বিক্রি করলে বিক্রেতারা আড়াইশ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে পারত। কিন্তু, কেজি দরে বিক্রি করে সেই লিচু ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন।’
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আল নূর বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এখন যেহেতু জেনেছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।