সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মৌসুমী ফল লিচু। তবে কোথাও কোথাও পিস হিসেবেও বিক্রি করতে দেখা গেছে গ্রীষ্মকালীন রসালো এই ফলটি। কেজি দরে লিচু বিক্রি করায় ক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের দাবি, দাম বেশি নিতে সিন্ডিকেট করে কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে লিচু।
মঙ্গলবার (৩ জুন) মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফলপট্টিতে গিয়ে দেখা যায়, ঝোপা বাঁধা লিচু নিয়ে সারি করে বসে লিচু বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। হাক ডাক করে ডাকছেন ক্রেতাদের। ক্রেতারা লিচু কিনতে আসলে ঝোপা বাঁধা লিচু ডিজিটাল স্কেলে মেপে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। বড়-ছোট ভেদে এক কেজিতে লিচুর সংখ্যা হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫টি। এছাড়া পিছ হিসেবে ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে সরবরাহ কম থাকায় দাম তুলনামূলক বেশি। এ ছাড়া ক্রেতাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে পিছ হিসেবে বিক্রির পাশাপাশি কেজি দরে লিচু বিক্রি করা হচ্ছে।
লিচু বিক্রেতা লিয়াজ উদ্দিন বলেন, কেজি দরে বিক্রি করার ফলে যে কেউ চাইলে একশ টাকার লিচুও নিতে পারবে। কিন্ত পিছ হিসেবে বিক্রি করলে সেটা পারবে না। তাই ক্রেতাদের সুবিধার্থে লিচু কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ক্রেতাদেরই লাভ হচ্ছে।
আরেক লিচু বিক্রেতা মো. চুন্নু মিয়া বলেন, এবারই প্রথম নয়, গত বছরও লিচু কেজি দরে বিক্রি করেছি। পিছ হিসেবে বিক্রি করলে সংখ্যা কম হয় বলে ক্রেতারা অভিযোগ করে। আর কেজি দরে বিক্রি করলে সেই সুযোগ নেই। তাই কেজি দরে বিক্রি করলে ক্রেতা-বিক্রেতা সবারই লাভ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিক্রেতা জানান, লিচু কেজি দরে বিক্রি করলে লাভ একটু বেশি হয়। তাই বেশিরভাগ বিক্রেতারাই কেজি দরে বিক্রি করে।
অপরদিকে লিচু ক্রেতা উজ্জল হোসেন বলেন, লিচু বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে কেজি দরে বিক্রি করছে। এতে লিচুর দাম বেশি পড়ে। বাসায় ছোট বাচ্চা আছে। তাদের কথা ভেবে বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে। আমাদের তো কিছু করার নেই।
লিচু ক্রেতা আরেক নারী বলেন, জীবনে এই প্রথম কেজি দরে লিচু কিনলাম। আমরা মহিলা মানুষ, বাজারে এসে তো আর বেশি কিছু বলতে পারিনা। তাই দোকানদারেরা যেভাবে বলে আমাদের সেটা মেনে নিতে হয়।
আরেক নারী জানান, বাচ্চাদের জন্য লিচু কিনতে এসে দেখি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগে যেখানে পিস আকারে কিনতাম, এখন কেজি ধরে নিতে হচ্ছে। এতে দাম একটু বেশি পড়লেও সহজেই কেনা যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ফারহানা ইসলাম অজন্তা বলেন, কেজি দরে লিচু বিক্রির বিষয়ে আইনগত বিধি আমার জানা নেই। অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবগত করা হবে এবং আইনগত বিধি জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।