জুমবাংলা ডেস্ক : তীব্র তাপের মধ্যে লিচুর গুটি ঝরে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পাবনার বাগান মালিকরা। পাবনা সদর ও ঈশ্বরদীতে এবার প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। ফলনের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কার মধ্যেও নানাভাবে তারা ফলন টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, রোববার পাবনার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিনই তা বেড়ে চলেছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচণ্ড খরায় প্রতিদিন গাছ থেকে ঝরে পড়ছে অপরিপক্ব আম ও লিচুর গুটি। কেউ কেউ বিকল্প পন্থায় পানি দিয়ে এসব গুটি টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পাবনা ও ঈশ্বরদীর চাষিরা।
যখন মুকুল থেকে লিচু গুটি হতে শুরু করে তখন প্রচণ্ড গরমে গুটি ঝরতে শুরু করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগ ও পোকামাকড়ের সংক্রমণ কিংবা ঝড়েও গুটি ঝরতে পারে।
প্রতিকার হিসেবে এ সময় গাছে পানি দিতে হয়। রোগের সংক্রমণের ক্ষেত্রে কীটনাশক দিত হয়।
কৃষি বিভাগ জানায়, গত কয়েক বছর ধরে ৪ থেকে ৫শ কোটি টাকার লিচুর উৎপাদন হয় শুধু পাবনা ও ঈশ্বরদীতে। চলতি মৌসুমেও এমন আশা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাষিরা চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
পাবনা সদরের দাপুনিয়া গ্রামের লিচু চাষি আলী আকবর বলেন, “গত বছরে কিছুটা লোকসানের মুখে পড়ায় ভাবছিলাম এবার কিছুটা লাভবান হব; কিন্তু তীব্র তাপ প্রবাহে গাছ থেকে কাঁচা লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে প্রতিদিন। এতে ভাগ্যে কী আছে বুঝতে পারছি না।”
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসার মিতা সরকার জানান, “আমাদের হিসাব অনুযায়ী এবার ভালো ফলনের আশা ছিল। এখন গরমে ও খরায় লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। ফলে লিচুর ফলন গতবারের চেয়ে কম হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।”
তিনি জানান, এবার পাবনায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। শুধু ঈশ্বরদীতেই ৩১০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। গাছের সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।