রাজশাহীর মোহনপুরে বাবু নামের এক ব্যক্তিকে মুখে জোর করে বিষ ঢেলে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় সুদে কারবারি মোখলেসুর রহমান অরফে ধলু নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ধলু উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সেহালই গ্রামের ফজল শেখের ছেলে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বেলনা গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত বাবুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মারা যাওয়ার আগে বাবুর উপর নির্মম নির্যাতনের বর্ননা বাবু নিজের মুখে পরিবারের কাছে বলে যান। বাবুকে মেরে ফেলার পর তার পরিবার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত বাবুর সেই জবান ভিডিও রেকর্ড বন্দী করে রাখেন তার পরিবার।
শনিবার রাতে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান সানশাইনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত বাবুর পরিবারের দাবি, পুলিশের হাতে আটক ধলু সুদের টাকার জন্য তার লোকজন নিয়ে বাবুকে হত্যা করেছে। বেলনা গ্রামের আফসার সরদারের ছেলে ৫০ বয়সী বাবুর বাড়ি বেলনা গ্রামে। নিহত বাবুর পরিবারে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। এলাকায় কৃষি কাজ করার পাশাপাশি জেলা শহরের রিকশা চালিয়ে সংসার চালান বাবু।
নিহত বাবুর ভগ্নিপতি দুলাল হোসেন জানান, স্ত্রী বড়ভাই হিসেবে বাবুর সাথে তার সম্পর্ক ভালো। বাবু সুদের কারবারি ধলুর কাছে সুদে টাকা নেয়। সেই টাকা নিয়মিত পরিশোধ করতে না পারায় বাবুকে চাপ দেয় ধলু। শুক্রবার কথা অনুযায়ী টাকা না দেয়ায় সুদে কারবারি ধলু তার লোকজন নিয়ে বাবুকে আটকিয়ে নির্যাতন করে। নির্যাতনের একপর্যায়ে বাবুর মুখে ঘাস মারা কীটনাশক ঢেলে দিয়ে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধলু ও তার লোকজন।
ভগ্নিপতি দুলাল আরো জানান, বাবুকে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে গেলে বাবু গুঙ্গাইতে থাকে। তখন পরিবারের লোকজন বেরিয়ে এসে বাবুকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়ে যেতে বলেন। বাবুকে রামেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে মারা যাওয়ার আগে বাবু তার পরিবারের কাছে নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে গেছেন।
মোহনপুর থানার ওসি সানশাইনকে মুঠোফোনে জানান, একটি রেকর্ডের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহন করা হয়। নিহত বাবুর স্ত্রী বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ধলুকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ধলু পলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেনি। তবে বাবুকে টাকার জন্য ফোন দিয়েছে বলে জানায় সে।
ওসি বলেন, এ মামলায় কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। প্রাথমিকভাবে তদন্তে এটি হত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।