ঋণ পরিশোধ করতে ফেসবুকে কিডনি বিক্রির পোস্ট যুবকের

জুমবাংলা ডেস্ক : ব্যবসার মূলধন হারিয়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করতে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন হুজাইফা তুল ইয়ামানী (২৬) নামের এক যুবক। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১টায় হুজাইফা তুল ইয়ামানী নামের ওই যুবক নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে কিডনী বিক্রির এই পোস্ট করেন। সেখানে তিনি যোগাযোগের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো নাম্বারও উল্লেখ করেন।

হুজাইফা তুল ইয়ামানী গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের উত্তর ফলিয়া গ্রামের পান ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের ছেলে।

ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে হুজাইফা তুল ইয়ামানী’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শহরের পুরাতন বাজারে বাবার পানের দোকানের পাশের একটি ঘরে দুই বছর আগে বিকাশ, নগদের ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেই। সে মোতাবেক কয়েকজনকে ব্যবসায় পার্টনার করে ১ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করি। একসময় মূলধনের পরিমাণ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হয়। তিনমাস আগে একদিন ব্যবসা শেষে রাতে কাপড়ের ব্যাগে করে ২ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে পরিচিত, অপরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখি কোমরে রাখা টাকার ব্যাগটি নেই। এরপর কোথাও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের থাকার জন্য বাড়ি-ভিটে ছাড়া কিছুই নেই। এত টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো, ভেবে খুব চিন্তায় পড়ে যাই। নিজের স্ত্রী সন্তান আছে। বাবাও খুব ছোট একজন পানের ব্যবসায়ী। বর্তমানে তিনি চিল্লায় আছেন।

এরপর পার্টনারদের টাকার চাপে বাধ্য হয়ে তিনমাস আগে ঢাকায় যাই চাকরি করতে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফিরে আসি। মানুষের ঋণ পরিশোধ করাটাও খুব জরুরি হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে আমার ঋণের পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই ফেসবুকে কিডনী বিক্রির পোস্ট করেছি’।

বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাবু বলেন, ‘লোক মুখে শুনে ওই ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি’।

৩০ বছরের আগে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া যায় না

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘এভাবে ফেসবুকে কিডনি বা শরীরের যেকোনো অঙ্গ বিক্রি করা নিষিদ্ধ। হয়তো নিরূপায় হয়ে কিডনি বিক্রির পোস্ট দিতে হয়েছে তাকে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো’।