আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অর্থনৈতিক সংকটের কারেণ আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় শ্রীলংকার স্থানীয় সরকার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় তহবিল না পাওয়ায় দেশটি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলো।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটির নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের নির্ধারিত সময়সূচি স্থগিত ঘোষণা করে।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার শ্রীলংকার নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এক বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকের পর এক লিখিত ঘোষণায় কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তহবিল সংকট চলার কারণে পূর্বনির্ধারিত দিন আগামী ৯ মার্চ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আয়োজন ও ভোটগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচনের পরবর্তী সময়সূচি ৩ মার্চ জানিয়ে দেওয়া হবে।
এই নির্বাচনটিকে মনে করা হচ্ছিল বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের জন্য এক বড় পরীক্ষা। গত বছরের জুলাইয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান গোতাবায়া রাজাপাকসে। এর পরেই দায়িত্ব নেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
বৃহস্পতিবার এক ভাষণে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, শ্রীলংকা এখন অর্থনৈতিক সংকটের যে ঘূর্ণিতে আছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্ব হলো দেশকে এই ঘূর্নী থেকে বের করে আনা।
ভাষণে যদিও তিনি সরাসরি বলেননি, তবে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন— বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেশের টালমাটাল অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।
বৃহস্পতিবার তার ভাষণের পর বিরোধী দল সামাগি জানা বালাওয়েগায়া (এসজিবি) অবশ্য সমালোচনা করে বলেছে, দেশের রাজনীতিতে নিজের নিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় করতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন স্থগিত করেছেন প্রেসিডেন্ট।
শ্রীলংকায় বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারে প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বেও আছেন বিক্রমাসিংহে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশজুড়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আয়োজন ও ভোটগ্রহণ বাবদ অন্তত ১ হাজার কোটি শ্রীলংকান রুপি প্রয়োজন।
গত বছর মার্চেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেবারও একই কারণে, অর্থাৎ অর্থনৈতিক সংকটের জেরেই স্থগিত করা হয়েছিল নির্বাচন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।