আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন দেশের নাগরিক ব্যবসা, শিক্ষা, কাজ এবং ‘মাই সেকেন্ড হোম’ ক্যাটাগরিতে বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের ফলে নিজস্ব এলাকা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও স্কুলসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তারা।
এদিকে দেশটির ইমিগ্রেশনের পরিচালক শামসুল বদরিন মহসিন জানিয়েছেন, স্থানীয়রা বিদেশিদের সংখ্যাধিক্য এলাকা নিয়ে প্রায়ই নানা অভিযোগ করে আসছেন। অভিবাসন বিভাগ ক্লাং উপত্যকায় বিদেশিদের আকৃষ্ট করার অন্যতম কারণ হিসেবে চাকরির ক্ষেত্রে, বিশেষ করে নির্মাণ এবং সেবা সেক্টরে বিদেশি কর্মীদের প্রচুর চাহিদার কথা জানায়।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক শামসুল বদরিন মহসিন বলেছেন, রাজধানী শহরে বিদেশি শ্রমের উচ্চ চাহিদা থাকায় নিয়োগকর্তারা এসব বিদেশিদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেন। কুয়ালালামপুরের সমস্যা হলো, এখানে প্রচুর সংখ্যক বিদেশি। আমরা প্রায়ই এ বিষয়ে অভিযোগ পাই। কিন্তু পরিদর্শন করার পর, আমরা দেখতে পাই যে, তাদের বেশিরভাগেরই বৈধতা রয়েছে।
তিনি বলেন, বিদেশিদের দেখে স্থানীয়রা ধারণা করেন যে, তারা অবৈধ অভিবাসী। পুলিশ এবং কুয়ালালামপুর সিটি অথরিটি এ বিষয়ে কোনো কাজ করছে না বলে অভিযুক্ত করতে শুরু করেন। বাস্তবতা হলো আমরা যে বিদেশিদের দেখছি তারা সবাই অবৈধ নয়। সম্প্রতি আমরা পুডুরায় অভিযান পরিচালনা করে অনেক বিদেশিকে আটক করেছিলাম। কিন্তু আমরা তাদের ছেড়ে দিয়েছি। কারণ, তাদের বৈধতা এবং কাজের অনুমতি ছিল।
শামসুল বদরিন জানান, তার বিভাগ রাজধানীতে বিদেশিদের আগমনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়। অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশিদের শনাক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
দেশটির ক্লাং উপত্যকা জুড়ে কমপক্ষে ৩০টি স্থানে বিদেশিদের নিজস্ব বসতি এলাকা গড়ে উঠেছে। কারণ, ক্লাং উপত্যকা দ্রুত উন্নয়ন, শিল্প এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য বিখ্যাত। ফলে এ এলাকায় কাজের সুযোগ থাকায় বিদেশিদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নির্মাণ, সেবা এবং পরিচ্ছন্নতা সেক্টরে। উল্লেখযোগ্যভাবে বিদেশিদের সংখ্যার বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা আধিপত্য দেখাতে শুরু করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। বর্তমানে ক্লাং উপত্যকার বেশ কিছু এলাকা বিভিন্ন বিদেশিদের কলোনিতে পরিণত হয়েছে।
অপরদিকে, বাংলাদেশিরা লেবুহ আমপাং, বুকিত বিনতাং এবং চেরাস বারুতে বাস করেন। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আমপাং, গোমবাক এবং সেরি কেমবাঙ্গানে কেন্দ্রীভূত।
অন্যদিকে, পাকিস্তানিরা চেরাস, পুচং, শাহ আলম, সেরি কেমবাঙ্গান, নিলাই এবং ডেংকিল এলাকায় তাদের নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করে। গত এক দশকে, ভারত, নেপাল, আরব অঞ্চল এবং আফ্রিকা থেকে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বাসিন্দাও ক্লাং উপত্যকায় বসতি স্থাপন করেছে।
পর্যবেক্ষকরা বিশ্বাস করেন যে, কর্তৃপক্ষের কার্যকর এবং টেকসই ব্যবস্থা বিদেশিদের মালয়েশিয়ায় যাওয়া সমস্যার সমাধান হবে। বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার বিভিন্নরকম শর্ত আছে। সে সব শর্ত মেনে অবস্থান করলে কোনো বিদেশিই মালয়েশিয়ার স্থানীয়দের জন্য সমস্যার হবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।