জুমবাংলা ডেস্ক : ধ্বংসস্তূপে পরিণত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি দেখতে আজও ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। কেউ একা, কেউ আবার পরিবার নিয়ে এসেছেন অর্ধেক ভাঙা অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা বিধ্বস্ত বাড়িটি দেখতে।
এছাড়া ভাঙারি দোকানি ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা ব্যস্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে লোহার রড কাটায়।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে দেখা যায়, গত দুই দিনের মতো আজও সকাল থেকে উৎসুক জনতা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়িটি দেখতে ভিড় করছেন।
কেউ ঘুরে ঘুরে ভাঙা ভবনটির বিভিন্ন স্থান দেখছেন। অনেকে আবার স্মৃতি হিসেবে তুলছেন ছবি-করছেন ভিডিও।
এদিকে গত দুই দিনের মতো আজও ধ্বংসস্তূপ থেকে লোহার রড কেটে নিতে দেখা যায় ভাঙারি দোকানি ও নিম্ন আয়ের মানুষদের। হাতুড়ি, শাবল, লোহা কাটার ব্লেড দিয়ে যে যার মতো সেগুলো কেটে নিচ্ছেন। এসব নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে নারী, পুরুষ, কিশোরও রয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচি দিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে জড়ো হয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। রাত ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা নানা স্লোগান দিতে দিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সমবেত হয়ে ভাঙচুরের এক পর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে রাত ১১টার দিকে ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে ক্রেন ও এক্সকেভেটর এনে ভাঙার কাজ শুরু করে ছাত্র-জনতা। পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভবনটি ভাঙার কাজ চলে। এরপর এক্সেভেটরটি নিয়ে যাওয়া হয়।
Honor 200 5G: সেলফি ক্যামেরার চমক, ৫০MP সেলফি ক্যামেরার সেরা ফোন!
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়ি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত এ বাড়িতেই থাকতেন শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। বাড়িটি পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।