লাইফস্টাইল ডেস্ক : আপনি কি স্মার্ট? লোকেরা কি আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ? আর প্রশংসায় অভিষিক্ত হলেই যে আপনি স্মার্ট, তা কিন্তু নয়। স্মার্টনেস পরিমাপের ক্ষেত্রে শুধু পোশাক-আশাক, সাজসজ্জা ও বাচনভঙ্গীই মুখ্য বিষয় নয়। ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তাসহ আরো অনেক বিষয়কে আমলে নিতে হয়। আপনি অন্যদের চেয়ে স্মার্ট কি না তা বুঝতে কিছু লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য থাকবে আপনার মাঝে।
নীচে এ লক্ষণগুলো আপনার সুবিধার্থে তুলে ধরা হলো। যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা এনসিবিয়াই-র (ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন)একটি গবেষণায় দেখা গেছে, লম্বা ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় অধিকাংশ সময়ই অন্যদের চেয়ে বেশি নম্বর পায়। লম্বা ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাধারণ জ্ঞান বেশি থাকে।
সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স’-র গবেষণা বলছে, বাদ্যযন্ত্র সম্পর্কে ভালো জ্ঞান বুদ্ধিমত্তার অন্যতম একটি লক্ষণ। গবেষণায় স্কুলের দুটি আলাদা শ্রেণির বাচ্চাদের দুটি আলাদা দল করা হয়। এক শ্রেণিতে সংগীতের শিক্ষা দেওয়া হয়। অন্য শ্রেণিতে ভিজুয়াল শিল্প শেখানো হয়। সংগীত শিক্ষাপ্রাপ্ত শিশুরা ২০ দিন পরে চমৎকার মৌখিক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়।
২০০৭-এ নরওয়ের আড়াই লাখ সেনার মধ্যে করা এক গবেষণায় দেখে গেছে, মা-বাবার প্রথম সন্তানদেরই বুদ্ধিমত্তা সবচাইতে বেশি থাকে। এটা হয়তো বংশগত কারণে নয়, বরং প্রথম সন্তানের প্রতি মা-বাবাদের বেশি ও ছোট সন্তানের প্রতি কম মনোযোগের কারণেই এটা হয়ে থাকে।
ব্রিটিশ সাময়িকী দি ল্যানসেট-র এক গবেষণায় দেখা যায়, জন্মের প্রথম বছর মাতৃদুগ্ধ পানকারী ছেলেমেয়েরা বেশি স্মার্ট হয় এবং অন্যদের চাইতে বেশি উপার্জন করে থাকে। উল্টো দিকে, যারা এক মাসেরও কম মাতৃদুগ্ধ পান করে বা বোতলজাত পানীয় পান করে তাদের বুদ্ধিমত্তা কম থাকে—পিছিয়ে পড়ে অন্যদের চাইতে।
২০০৯-এ ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে করা গবেষণায় দেখা যায়, ধূমপায়ীরা অন্যদের চাইতে কম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন হয়। গভীর রাত কারো কারো জন্য কাজ করার এক পছন্দের সময়। দেখা গেছে, নিশাচররা বেশি বুদ্ধিমান হয়, যেহেতু কাজ করার জন্য তারা অন্যরকম এক পরিবেশ পছন্দ করে।
অতিরিক্ত চিন্তা করা কোনো কাজের কথা নয়। তবে, এক গবেষণায় দেখা যায়, বেশি দুশ্চিন্তা করা মানুষগুলোর মধ্যে বুদ্ধিমত্তা বেশি থাকে। উল্টোদিকে কিছু মানুষ যারা চিন্তা করে না, মাঝে মাঝে হয়তো পরীক্ষায় বেশি নম্বর পায়, তবে তাদের মৌখিক বুদ্ধিমত্তা কম থাকে।
আকাশ কুসুম কল্পনা করা ছেলেমেয়েরা বেশি বুদ্ধিমান হয়। কল্পনা করা কর্মক্ষম মস্তিষ্কের একটি লক্ষণ। এ ধরনের কল্পনা হয়তো কোনো কাজে আসে না। তবে নিজস্ব কল্পনার মাঝে ঘুরে বেড়াতে সাহায্য করে। আর এই ঘুরে বেড়ানোকে তরল বুদ্ধিমত্তা আর সৃজনশীলতার একটি ইতিবাচক উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে গবেষণায়। যে সমস্ত মানুষ বাঁ হাতে কাজ করে তারা খুব চটপটে ও বুদ্ধিমান হয়। তবে এতে ডান-হাতিদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা, তাদের মধ্যে সময়ের হিসাব জ্ঞান বেশি দেখা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।