জুমবাংলা ডেস্ক : উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তার দলের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এরই মধ্যে বহুবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। তবুও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দিয়ে একরকম চিকিৎসাবঞ্চিত করে রাখে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। তারপর থেকেই তার লন্ডনে যাওয়ার বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হয়।
অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ মঙ্গলবার রাত ১০টায় লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে যাবেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা, দলীয় নেতা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও স্টাফসহ ১৫ জনের অধিক মানুষ।
সবকিছু ঠিক থাকলে রাত ১০টায় কাতারের একটি বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা ছেড়ে যাবেন তিনি। লন্ডন পৌঁছে ‘লন্ডন ক্লিনিক’এ ভর্তি হবেন বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
জানা যায়, গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আবাস্থল ‘ফিরোজা’য় থাকছেন ২০১০ সাল থেকে। প্রায় ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে ভোলার বাসিন্দা ফাতেমা খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করছেন। ৩৫ বছর বয়সী ফাতেমা বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কাজগুলো করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন তার দৈনন্দিন কাজের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ফাতেমার ওপর নির্ভরশীল। দেশের ভেতর তো বটেই, দেশের বাইরেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকেন তিনি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, দলীয় চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় চেয়ারপারসনের এই কাজগুলো সঠিকভাবে করার কারণে খালেদা জিয়া এখন তার কাজগুলোর ব্যাপারে ফাতেমার ওপর নির্ভর করেন। এ কারণে দৈনন্দিন কাজে সহযোগিতার জন্য তিনি ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার জন্য আবেদন করেছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হয়। এরপর থেকেই তার সঙ্গে স্বেচ্চায় কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় ২৫ মাস ছিলেন ফাতেমা বেগম। পরে সবমিলিয়ে দীর্ঘ ৭৭৪ দিন খালেদা জিয়াকে সঙ্গ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। বন্দির সঙ্গে গৃহপরিচারিকা থাকা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি থেকেছেন জেলে কিংবা হাসপাতালে।
২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর যখন গুলশানের কার্যালয়ে থেকে খালেদা জিয়াকে বের হতে দেওয়া হচ্ছিল না ওই সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের পেছনে পতাকা হাতে দাঁড়ানো ফাতেমাকে নিয়ে অনেকেই কৌতূহল দেখান। খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ থাকার সময় গুলশান কার্যালয়ে ফাতেমার সঙ্গে কোনো কোনো সাংবাদিকের কথাও হয়েছে।
উল্লুতে রিলিজ হলো রোমান্সে ভরপুর ওয়েব সিরিজের তৃতীয় সিজন, একা দেখুন
ফাতেমা বাবা-মার সঙ্গে ঢাকার শাহজাহানপুরে থাকতেন। এখন তার বাবা-মা ও এক ছেলে শাহজাহানপুর এলাকাতেই থাকেন। খুবই স্বল্পভাষী ফাতেমা সর্বশেষ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে তিনি অনেক দেশে গেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।