অন্যরকম খবর ডেস্ক : রুটি ফল Moracea পরিবারের সদস্য। যার বাহারি পাতার অগ্রভাগ হাতের আঙ্গুলের মত চমৎকার নকশা করা। ফল দেখতে ঠিক কাঁঠালের মত। কেউ কেউ কাঁঠাল ভেবে ভুলও করতে পারেন। তবে এর স্বাদ মিষ্টি আলু বা কলার মত। কাঁঠালের সঙ্গে এর পার্থক্য হচ্ছে কাঁঠাল পাকলে সরাসরি খাওয়া গেলেও রুটি ফল পাউরটির মত কেটে করে আগুনে ঝলসে খেতে হয়।
গাছের ঘন পাতার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে আছে কাঁটাওয়ালা গোল গোল ফল। ঠিক করে না তাকালে যে কেউ কাঁঠাল ভেবে ভুল করবেন। ফলটির নামও সুন্দর, রুটি ফল।
কুমিল্লা কোটবাড়িতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) ক্যাম্পাসে পাঁচ বছরের ব্যবধানে নতুন একটি রুটি ফল গাছে ফল ধরেছে। ফলটি এখন নজর কাড়ছে বার্ডে আগত দর্শনার্থীদের।
ইন্টারনেট থেকে জানা যায়, রুটি ফল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus Communis। গ্রিক শব্দ ‘আরটস’ অর্থ রুটি আর ‘কারপাস’-এর মানে হলো ফল। সুতরাং আরটোকারপাস-এর মানে দাঁড়াচ্ছে- ব্রেডফ্রুট বা রুটিফল।
রুটি ফল Moracea পরিবারের সদস্য। যার বাহারি পাতার অগ্রভাগ হাতের আঙ্গুলের মত চমৎকার নকশা করা। ফল দেখতে ঠিক কাঁঠালের মত। কেউ কেউ কাঁঠাল ভেবে ভুলও করতে পারেন। তবে এর স্বাদ মিষ্টি আলু বা কলার মত। কাঁঠালের সঙ্গে এর পার্থক্য হচ্ছে কাঁঠাল পাকলে সরাসরি খাওয়া গেলেও রুটি ফল পাউরটির মত কেটে করে আগুনে ঝলসে খেতে হয়।
একটি রুটি ফল গাছ ৫০ থেকে ৬৫ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। ফল ধরে শাখার অগ্রভাগে। পাখি ধরার ফাঁদ হিসেবে রুটিফল গাছের আঁঠার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
বার্ডে প্রশিক্ষণ নিতে আসা আবদুস সামাদ বলেন, ‘আমি গাছটির নিচে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। এমন কাঁঠাল আগে দেখিনি। পরে পাশের একজন বলল, এটা রুটি ফল। পরে জানলাম এটার স্বাদ ও গুণের কথা। আমি ছবিও তুলে রেখেছি। তবে সরাসরি গাছ ও ফল দুটোই সুন্দর।’
বার্ডের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আশির দশকে বার্ডে প্রথম রুটি ফল গাছ রোপণ করা হয়। এ গাছের ফল আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে সংগ্রহ করা হত। ২০১৭ সালের গাছটি ঝড়ে পড়ে যায়। পরে সে বছরই এই গাছটি যেন বার্ড ক্যাম্পাসে বৃদ্ধি পায় সে জন্য ৩টি রুটি ফল গাছের চারা লাগানো হয়। সেগুলোর মধ্যে একটি গাছে এবার ৩৫-৪০টির মতো ফল এসেছে।
‘রুটি ফলের স্বাদ দারুণ। এই ফল সবজি হিসেবেও অসাধারণ। ফলটি কাঁচা একরকম স্বাদ, পাকা আরেক রকম স্বাদ।’
কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. মোহাম্মদ আবু নাঈম জানান, এই রুটি ফল প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বৃক্ষ। আমাদের দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের পাশে ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্বদ্যিালয়েও গাছটি রয়েছে।
এই ফল স্বাদে ও গুণে অনন্য। সুষম খাদ্যের সব ধরনের উপাদান আছে এতে। গাছের ঔষধি গুণাগুণও আছে। উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টের উপশম হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।