জুমবাংলা ডেস্ক : জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশি আল আমিন নামে এক যুবক আসবাবপত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল মূল সনদপত্র লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মূল সনদপত্র না থাকায় দুটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি নার্সিং কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারছেন না দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী সাবরিনা লিপি। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখর নগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামে।
ওই গ্রামের রাজমিস্ত্রি নাজিম উদ্দিনের মেয়ে সাবরিনা লিপি। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে সালিশী বৈঠক করেও লুট হওয়া সনদপত্র ফিরে পাননি বলে জানান সাবরিনা লিপি।
জানা গেছে, জমি নিয়ে লোচনপুর গ্রামের দুই প্রতিবেশি নূর নবী ও নাজিম উদ্দিনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে (গত ২৬ জুন) তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। ঘটনার পরদিন নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে নূর নবীসহ তার স্ত্রী ও দুই ছেলে শাহাজান ও আল আমিনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন আল আমিন ও তার ভাই মিলে নাজিম উদ্দিনের ঘর থেকে আসবাপত্র, নগদ অর্থ ও সোনার গহনার সঙ্গে তার মেয়ে লিপির এসএসসি ও এইচএসসি মূল সনদপত্র, একটি পেনড্রাইডসহ অন্যান্য কাগজপত্র দিয়ে যায়।
সাবরিনা লিপি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালসহ একটি নার্সিং কলেজে চান্স পেয়েছি। সামনে আরো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশি আল আমিন ঘর থেকে মালামালের সঙ্গে আমার এসএসসি ও এইচএসসি’র সার্টিফিকেট, একটি পেনড্রাইড ও অন্যান্য কাগজপত্র লুট করেছে। মূল সনদপত্র ছাড়া ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে থানায় অভিযোগ ও সালিশী বৈঠক করেও ফিরে পাইনি সার্টিফিকেট।
তিনি আরো বলেন, আমি দরিদ্র ঘরের সন্তান। অভাব-অনাটনে মধ্যে দিয়েও সকল পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমার স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষা শেষ করে পরিবারের পাশে দাঁড়াব। এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা চান লিপি।
জমি নিয়ে বিরোধের কথা শিকার করে শাহাজান মিয়া জানান, ওই শিক্ষার্থী সার্টিফিকেট তার ভাই আল আমিন নেয়নি। তাদেরকে হয়রানি করার জন্য এ অভিযোগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উত্তরবাখরনগর ইউপি সদস্য শব্দর আলী জানান, সালিশে বসে দু’পক্ষের জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিম্পত্তি করে দেওয়া হয়েছে। লিপি নামে ওই শিক্ষাথর্ীর সার্টিফিকেট নেওয়ার বিষয়টি আল আমিন অস্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক মো. আবুল কামাল আজাদ বলেন, নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিপক্ষ আল আমিন ও শাহাজানের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিরোধ আপোষ মিমাংসা করে দিয়েছেন। তবে সার্টিফিকেট লুটের বিষয়টি আমার জানা নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।