জুমবাংলা ডেস্ক : রং নম্বরে পরিচয়ের পর প্রেম। দেখা করতে এলে আটকে রেখে অশ্লীল ভিডিও ধারণ। শেষে চাঁদা দাবি। এমন ঘটনায় আজ মঙ্গলবার চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন কালুখালী উপজেলার তফাদিয়া গ্রামের মোছা. তামান্না আক্তার (২৬), রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও গোয়ালন্দ মোড় ব্র্যাক পাড়ার ভাড়াটিয়া মো. আসাদুজ্জামান লাল (৩৫), রামচন্দ্রপুর গ্রামের মো. সজিবুর রহমান ওরফে সবুজ (২৬) ও খানখানাপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান লালের স্ত্রী ও গোয়ালন্দ মোড় ব্র্যাক পাড়ার ভাড়াটিয়া মোছা. তাছলিমা বেগম (২৭)।
ভুক্তভোগীর ব্যক্তির বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায়। তিনি বলেন, মোছা. তামান্না আক্তারের সঙ্গে গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে মোবাইল ফোনে রং নম্বরে পরিচয় হয়। তার সঙ্গে নিয়মিত কথা হয়। একপর্যায়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তামান্না তাকে দেখা করার জন্য রাজবাড়ীতে আসতে বলেন। তার কথায় রাজি হয়ে গত রোববার দুপুর ২টার দিকে রাজবাড়ী মুরগির ফার্ম এলাকায় আসেন।
সেখানে অন্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তামান্না। পরে ভুক্তভোগীকে নিয়ে রাজবাড়ী সোনাকান্দর পদ্মা নদী এলাকায় ঘোরাঘুরি করেন তারা। সেখান থেকে রাজবাড়ী শ্রীপুর মেলায় নিয়ে যান। মেলায় তাকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মেলা সংলগ্ন রাজবাড়ী হর্টিকালচারের সামনে সড়কে গিয়ে তাদের থেকে বিদায় চান। সেখান থেকে নিজের বাড়িতে যেতে চান ভুক্তভোগী। কিন্তু তাকে তামান্নার বাড়িতে যেতে বলা হয়। তাদের কথায় রাজি না হলে শুরু হয় জোর-জবরদস্তি। একপর্যায়ে হুমকি দিতে থাকেন তারা।
সেখানে হঠাৎ একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এসে দাঁড়ায়। ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে অটোরিকশায় তুলে রাজবাড়ী সদর থানার কল্যানপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ভাড়া দেওয়া টিনসেড বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে ঘরে আটকে রাখা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তামান্না ব্রা ও পায়জাম পরে ভুক্তভোগীর সঙ্গে ভিডিও ধারণ করে। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাক চাঁদা দাবি করা হয়। তাদের কথায় সম্মত না হলে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়।
প্রাণের ভয়ে ওই ভুক্তভোগী তার চাচার মোবাইলে ফোন করে বিষয়টি জানান। তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি রাজবাড়ী সদর থানায় জানায়। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী থানার পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আজ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতে নেওয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।