ভারতকে ভালোবাসি, আমাকে থাকতে দিন: তসলিমা নাসরিন

Taslima Nasrin

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে থাকার অনুমতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আবেদন জানিয়েছেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সোমবার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টের মাধ্যমে এই আবেদন জানান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি ভারতে বসবাস করছি। কারণ আমি মহান এই দেশটাকে ভালোবাসি।’

Taslima Nasrin

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ১৯৯৪ সাল থেকে বাংলাদেশের বাইরে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হন তিনি। প্রতিবেদন বলছে, নারীদের সমঅধিকার ও সাম্প্রদায়িকতার ওপর লেখালেখির কারণে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তসলিমা। এরপর নির্বাসিত হন।

এক্সের পোস্টে তসলিমা লেখেন, ‘প্রিয় অমিত শাহজি, নমস্কার। আমি ভারতে বসবাস করছি। কারণ আমি মহান এই দেশটাকে ভালোবাসি। গত ২০ বছর ধরে এটি আমার দ্বিতীয় বাড়ি। কিন্তু ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২২ জুলাইয়ের পর থেকে আমার বসবাসের অনুমতি আর বাড়াচ্ছে না। আমি এ নিয়ে খুব চিন্তিত। আপনি যদি আমাকে থাকতে দেন, আমি খুব কৃতজ্ঞ হবো। শুভকামনা রইল।’

আপাতত দিল্লিতে বসবাস করছেন তসলিমা। ১৯৯৪ সালে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তসলিমাকে। ইসলাম বিরোধী লেখালেখির জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয়েছিল। এরপর দীর্ঘদিন ইউরোপ-আমেরিকায় থাকার পর ভারতে ঠাঁই হয় তাঁর।

https://x.com/taslimanasreen?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1848266260846383532%7Ctwgr%5Eabad3cc74a168b5250d2dcb99250c955d9822f89%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fd-296360322151938284.ampproject.net%2F2410031633000%2Fframe.html

২০০৪ সাল থেকে টানা তিন বছর পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন তসলিমা। এরপর লেখা বই ‘দ্বিখণ্ডিত’ নিষিদ্ধ হওয়ার পর হুমকির মুখে পড়ে কলকাতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

কলকাতা ছাড়ার পর বেশ কয়েক বছর জয়পুরে ছিলেন তসলিমা, পরে দিল্লির বাসিন্দা হন। রেসিডেন্ট পারমিট দীর্ঘ সময় ধরে পুনর্নবায়ন হলেও সম্প্রতি আটকে গেছে। ভারত-বাংলাদেশে কূটনীতিক সম্পর্ক খানিকটা নড়বড়ে। এর জেরেই কি আটকে গেছে তসলিমার পারমিট?

লেখিকা অবশ্য তেমনটা মানতে রাজি নন। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে তাঁর যোগ নেই। তিনি সুইডিশ নাগরিক হিসেবে ভারতে থাকেন। এর আগে ২০১৭ সালে একবার প্রযুক্তিগত ক্রুটির কারণে তসলিমার রেসিডেন্ট পারমিট নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে তা পরে ঠিক করা হয়।

তসলিমা নাসরিনের লেখা বই ‘লজ্জা’ (১৯৯৩), ‘আমার মেয়েবেলা’ (১৯৯৮) বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।