দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং তিন জেলায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে।
 
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে এক ফেসবুকে পোস্টে আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ এ তথ্য জানান।
তার দেওয়া তথ্যে আরও জানা যায়, লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোর আকাশে গভীর সঞ্চরণশীল মেঘের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে ৩টা থেকে বুধবার দুপুর ১২ টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে তীব্র বজ্রপাতসহ বৃষ্টির প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোর ওপরে মাঝারি থেকে ভারী মানের বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিশেষ করে বান্দরবন, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির ওপরে তীব্র বজ্রপাতসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আশংকা করা যাচ্ছে।
সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে রাত ৮ টার পর থেকে বুধবার দুপুর ১২ টার মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা বিভাগের মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ জেলার ওপরে হালকা বৃষ্টিপাতের আশংকা করা যাচ্ছে।
মোস্তফা কামাল পলাশ আরও বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবন, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফেনী, কুমিল্লা, ব্রক্ষণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ ছাড়া মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ জেলায় হালাকা বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বান্দরবন, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি জেলার পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে।
এ ছাড়া লঘুচাপটির প্রভাব রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে কম পড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



