জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের ৬ বিভাগে ভারি বৃষ্টির কারণে নদনদীর পানি বাড়তে পারে। এতে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তবে মাতামুহুরী ও সাঙ্গু নদীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানি কমতে পারে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানিয়েছেন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান।
তিনি বলেন, পানি বাড়বে, এরমধ্যে রংপুরে পানি বেশি বাড়বে; যদিও বন্যা হওয়ার চান্স কম। তবে আগামী তিন দিন তিস্তা অববাহিকায় কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুরের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, আগামী তিন দিন রংপুর বিভাগ ও এর সংলগ্ন উজানে অতি ভারি বৃষ্টিতে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। বর্তমানে রংপুরে ব্রহ্মপুত্র ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানি কমছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুই দিন এসব নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী তিন দিন পানি বাড়তে পারে। এছাড়া, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর পানি সতর্ক সীমায় প্রবাহিত হতে পারে, অন্যদিকে কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, হালদা ও ফেনী নদীর পানি বাড়ছে। তবে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি কমছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও এর সংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে। এর ফলে গোমতী, হালদা, ফেনী ও মুহুরী নদীর পানি এসময়ে বাড়তে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। অন্যদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত মাতামুহুরী ও সাঙ্গু নদীর পানি কমতে পারে। পরবর্তী ২ দিন ভারি বৃষ্টির প্রবণতা কমার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের নদীর পানি কমতে পারে।
পুর্বাভাস কেন্দ্রের বুলেটিনে বলা হয়, সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী ২ দিন সিলেট বিভাগ ও এর সংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে। এ সময়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি ধীর গতিতে বাড়তে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে পারে। খোয়াই ও ধলাই নদীর পানি বাড়ছে, অন্যদিকে মনু, সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, সোমেশ্বরী ও ভুগাই-কংশ নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২ দিন সিলেট বিভাগের এসব নদীর পানি বাড়তে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের এসব নদীর পানি কমতে পারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় বা জোয়ারভাটা প্রবণ নদীর স্বাভাবিক জোয়ার দেখা যাচ্ছে। তবে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় উপকূলীয় অঞ্চলে ভারি বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে। এসময়ে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে কিছু বেশি উচ্চতার জোয়ার হতে পারে। এছাড়া রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদী ও তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং তার পরবর্তী ৪ দিনে পানি ধীর গতিতে কমতে পারে।
বন্যার বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদী ও তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং তার পরবর্তী ৪ দিনে ধীর গতিতে পানি কমতে পারে। তবে দেশের সব প্রধান নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানানো হয়।
সূত্র: বিডি নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।