আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীতে অসংখ্য পরিত্যক্ত জায়গা আছে। প্রতিটিরই নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে। তার মধ্যে কিছু জায়গা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে, অন্যগুলো আপনার মধ্যে সমীহ জাগাবে। ভয়াবহ কিন্তু আপনাকে আকৃষ্ট করবে এমন তিনটি জায়গা নিয়ে এই আয়োজন-
রিউজং হোটেল, পিয়ংইয়াং: জায়গাটিকে বলা হয় উত্তর কোরিয়ার পাগলামোর অন্যতম নিদর্শন! ১৯৯২ সালে এই হোটেল নির্মানের কাজ শুরু হয়। কিন্তু পরের বছরই দেশটিতে ভয়াবহ দূর্ভিক্ষ শুরু হওয়ার কারণে হোটেলটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রায় ১৬ বছর পর রিউজং-এর পুনঃনির্মাণ শুরু হয়। প্রায় ১৫০মিলিয়ন ডলার খরচ করে এর বাইরের অংশটিকে নীল কাঁচ দিয়ে আচ্ছাদিত করে দৃষ্টিনন্দিত করা হয়। কিন্তু হোটেলটির ভেতরের অনেক জায়গা এখনো পরিত্যক্ত ও অসম্পূর্ণ অবস্থায় রেখে দেয়া হয়েছে।
প্রিপিয়্যাট, ইউক্রেন: প্রিপিয়্যাট হলো পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত পরিত্যক্ত শহর। এই শহরটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পরমাণু ধ্বংসযজ্ঞের ফলে ৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত ছোট্ট এ শহরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। ক্ষতিকর বিকিরণ প্রভাবের কারণে এটিকে এখনো এড়িয়ে চলা হয়। শহরটি এখন মানুষের বসবাসের অযোগ্য হলেও এখানে বেড়ে উঠছে সবুজ গাছপালা। শহরটির পরিত্যক্ত বাড়িগুলো যেন পশুপাখিদের বসবাসের স্থান। জনমানবশূন্য এই শহরটি পারমানবিক বিস্ফোরণের বীভৎসতার সাক্ষী হয়ে আছে।
উইলার্ড অ্যাসাইলাম, নিউ ইয়র্ক: মানসিক ভারসম্যহীনদের সেবা প্রদানের জন্য ১৮৬৯ সালে এ আশ্রয়স্থলটি তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে একসঙ্গে চার হাজার মানুষ থাকার ব্যবস্থা ছিল। এর ব্যপ্তিকালে প্রায় ৫০ হাজার জন রোগী এতে ভর্তি হয়েছিলেন, যাদের প্রায় অর্ধেকই সেখানে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৫ সালে গারদটির সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হলে এটি বর্জিত হয়ে পড়ে। তখন থেকে ভয়ানক এক জায়গায় রূপ নেয় হাসপাতালটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।