বিনোদন ডেস্ক : চিত্রনায়িকা শাবনাজের মা আঞ্জুমান নাহার আর নেই। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে [সিএমএইচ] তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ঢাকায় আজ তাঁর প্রথম জানাজা হয়েছে। বাদ মাগরিব বিক্রমপুরের সিরাজদিঘা কাজীসালে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্বামীর কবরের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
আঞ্জুমান নাহারের নাতনি মাহদিয়া বলেন, ‘নানু দীর্ঘদিন হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া তাঁর বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যাও ছিল। ১০ দিন ধরে তিনি সিএমএইচে ছিলেন। আজ অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। এ পর্যায়ে দুপুরের দিকে তিনি আমাদের ছেড়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। সবার কাছে নানুর জন্য দোয়া চাইছি।’
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বাংলাদেশের সিনেমা দর্শক যখন একই মুখ দেখতে দেখতে ক্লান্ত, তখন পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন শাবনাজ।
এ সিনেমায় তাঁর নায়ক ছিলেন নাঈম। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত। যা পাল্টে দেয় তখনকার বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গতিধারা। ওই সময় নাঈম-শাবনাজ জুটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই জুটির উল্লেখযোগ্য সিনেমা ‘জিদ, ‘লাভ, চোখে চোখে’, ‘অনুতপ্ত ’, ‘বিষের বাঁশি, ‘সোনিয়া, ‘টাকার অহংকার, ‘সাক্ষাৎ’ও ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’। চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে সহশিল্পী, সে সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক নাঈমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় শাবনাজের। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর তারা ভালোবেসে বিয়ে করেন।
আঞ্জুমান নাহারের বড় মেয়ে শাবনাজ। মেজো মেয়ে সোনিয়া। ছোট মেয়ে নাট্যাভিনেত্রী তাহমিনা সুলতানা মৌ। তাঁর স্বামী এসএম হুমায়ুন তিতাস গ্যাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।